মেঘনায় বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাওয়ের ডাক ছাত্রলীগ সভাপতির

মেঘনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২৪, ০৩:৪৯ পিএম

মো. মহসিন সোহাগ
কয়েক মাস স্বাভাবিক থাকার পর হঠাৎ করে মেঘনাসহ অনেক অঞ্চল থেকেই বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে কুমিল্লা মেঘনা উপজেলায় যেন ইদানীং একটু বেশিই লোডশেডিং দেখা যাচ্ছে। গত ২৬ জুন দিনগত রাতে লোডশেডিং বেশি হওয়ায় এ নিয়ে এলাকায় সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক বিদ্যুৎ অফিস নিয়ে নানান মন্তব্য করে স্ট্যাটাস দিয়েছে অনেকেই।
এদিকে থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. মহসিন সোহাগ তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে মেঘনা পল্লী বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছেন বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকাল ১১টার দিকে। উপজেলার সবাইকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার আহ্বান জানান তিনি। তিনি লিখেন- পল্লী বিদ্যুৎ যা শুরু করেছে মেঘনার মানুষ গুলোকে শুধু মেরে ফেলা বাকী রেখেছে। এমন হতে থাকলে মানুষ মরে যাবে মনে হচ্ছে।
অন্যদিকে সংশ্লিষ্টরা জানান, এটা জাতীয় সমস্যা। এ নিয়ে বিদ্যুৎ অফিস বা কর্মকর্তাদের দোষারোপ করে কোনো লাভ নেই। তারাই বা কি করবে! জাতীয়ভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে মেঘনাতেও এর সমাধান হবে। এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি করা কোনোভাবেই ঠিক হবে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লা পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি-৩ জোনের এজিএম ইঞ্জিনিয়ার আহমেদ শাহরিয়ার ভোরের কাগজকে বলেন, ঘোড়াশালের একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে যান্ত্রিক ত্রুটি ও জ্বালানি সংকট থাকায় সাময়িকভাবে লোডশেডিং এর মাত্রা বেড়ে গেছে। তবে আশা করি খুব শিগগিরই চার-পাঁচদিনের মধ্যে চলমান সমস্যাটির সমাধান হবে। পরবর্তীতে লোডশেডিং স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে আসবে।
তিনি আরো বলেন, এই উপজেলায় মোট চাহিদার তুলনায় আমরা পাচ্ছি মাত্র ৩৫ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ। অর্থাৎ রাতে ১০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে পাওয়া যাচ্ছে ৩.৫ মেগাওয়াট থেকে ৪.০০ মেগাওয়াট এবং দিনের বেলায় ৮ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে পাওয়া যাচ্ছে প্রায় ৩ মেগাওয়াট, যা চাহিদার তুলনায় খুবই কম।