ভোরের কাগজে সংবাদ প্রকাশের পর চাঁদাবাজ আটক, মামলা প্রক্রিয়াধীন

সুরেশ চন্দ্র রায়, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২৪, ০৭:৫৮ পিএম

মানিকগঞ্জের শিবালয়ের ঢাকা- আরিচা মহাসড়কে বিভিন্ন পরিবহনে চাঁদাবাজির অপরাধে ১ জনকে আটক করা হয়েছে। ছবি: ভোরের কাগজ
মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার ঢাকা- আরিচা মহাসড়কের বরংগাইল মোড়ে বিভিন্ন পরিবহনে চাঁদাবাজি করার অপরাধে ১ জনকে আটক করে মামলা দেয়া হয়েছে। বরংগাইল হাইওয়ে থানা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
রবিবার (২৩ জুন) প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকায় শ্রমিক নেতাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ ও পরিবহন ভাড়ায় নৈরাজ্য শিরোনামে দুটো সংবাদ প্রকাশের ফলে বরংগাইল হাইওয়ে থানা পুলিশ অত্যন্ত সচেতন অবস্থানে ছিল। প্রতিদিনের মতো বিভিন্ন বাস থেকে অতিসংগোপনে চাঁদা আদায় করছিল একটি সংঘবদ্ধ চক্র। এসময় বরংগাইল হাইওয়ে থানা ইনচার্জের নেতৃত্বে পুলিশ উত্তোলিত চাঁদাসহ মো. রফিক(৬০)নামে একজন চাঁদাবাজকে হাতেনাতে আটক করে শিবালয় থানায় পাঠিয়েছে। আটককৃত ব্যক্তি ঘিওর থানার কালাচাঁদপুর গ্রামের মো.আব্দুর রহমান মোল্লার ছেলে।
বরংগাইল স্টেশনের লোকজনের মাধ্যমে জানা যায়, মানিকগঞ্জ জেলা শ্রমিক নেতা বাবুল সরকার, কাজী মতিউর রহমান ও মো.আব্দুল জব্বার কিছু শর্তসাপেক্ষে ঘিওর উপজেলায় ঐক্য পরিষদের একটি উপকমিটির অনুমোদন দিয়েছেন। এতে আব্দুল বারেককে সভাপতি এবং সানোয়ার হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়েছে। শর্তে উল্লেখ রয়েছে-কোন সিদ্ধান্ত নিতে হলে অবশ্যই জেলা কমিটির অনুমতি লাগবে। কিন্তু এই কমিটি জেলা কমিটিকে না জানিয়েই বিভিন্ন গাড়ি থেকে জোর করে টাকা উত্তোলন করছে। এটি চাঁদাবাজি ছাড়া আর কিছুই নয়। বরংগাইল হাইওয়ে থানা পুলিশ অত্যন্ত ভাল একটি কাজ করেছে। এধারা অব্যাহত থাকলে এবং শিবালয় ও ঘিওর থানা এ অভিযানে যুক্ত হলে অবশ্যই চাঁদাবাজি বন্ধ হয়ে যাবে।
ঘিওর উপজেলা শ্রমিক ঐক্য পরিষদের উপকমিটির সভাপতি আব্দুল বারেক জানান, স্থানীয়দের গোপন সংবাদের ভিত্তিতেই হাইওয়ে পুলিশ এসে রফিককে আটক করে ফাঁড়িতে নিয়ে গেছে। তিনিসহ বেশ কয়েকজন শ্রমিক নেতা তদবিরের জন্য ফাঁড়িতে গিয়েছিলেন। কিন্তু কোন কাজ হয়নি। ফাঁড়ি থেকে এখন থানায় পাঠাবে রফিককে। জেলার সভাপতি বাবুল সরকারকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তিনি তদবিরের আশ্বাস দিয়েছেন। বিষয়টি এমপি সাহেবকে জানানো ঠিক হবে কিনা এ নিয়ে তিনি চিন্তায় আছেন বলে জানান আব্দুল বারেক।
বরংগাইল হাইওয়ে থানা ইনচার্জ মো.ইব্রাহীম দৈনিক ভোরের কাগজকে জানান, দৈনিক ভোরের কাগজে এমর্মে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই বরংগাইল হাইওয়ে থানা পুলিশ অত্যন্ত তৎপর ছিল। বিভিন্ন বাসে চাঁদাবাজিকালে রফিক নামে একজনকে টাকাসহ হাতেনাতে আটক করে হাইওয়ে থানায় নেয়া হয়েছে। বিষয়টি শিবালয় থানার ওসি সাহেবকে মোবাইল ফোনে জানানো হয়েছে। এখন তাকে শিবালয় থানায় পাঠিয়ে তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা দেয়া হবে। বরংগাইলে অভিযানকালে ২-৩জন দৌড়ে পালিয়ে গেছে।
শিবালয় থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রউফ সরকার জানান, এবিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তাহলে আপনি ছুটিতে আছেন কিনা জানতে চাইলে ওসি বলেন, না। তবে, একটু ঝামেলায় রয়েছেন। এ বিষয়ে তিনি পরে কথা বলবেন।