পাবনায় যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ জুন ২০২৪, ১০:১৪ এএম

ছবি : সংগৃহীত
পাবনার সুজানগরে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পূর্ব শত্রুতার জেরে এ হত্যাকাণ্ড। নিহত আল আমিন মিয়া (৩৮) উপজেলার রানিনগর ইউনিয়নের মৃত শহিদুর রহমান মিয়ার ছেলে। তিনি রানিনগর ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য বলে জানা গেছে।
শুক্রবার (২১ জুন) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার রানিনগর ইউনিয়নের রানিনগর ক্লাবের সামনে তার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মৃত্যু হয় তার।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রথম ধাপে গত ৯ মে সুজানগর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব ও সাবেক চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিনুজ্জামান শাহীনের সমর্থকদের মধ্যে রানিনগরে বেশ কিছু দিন ধরে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এর আগে কয়েকবার তাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে।
আরো পড়ুন : বিভিন্ন জেলায় রাসেলস ভাইপার : কোথাও মৃত্যু, কোথাও আক্রান্ত
এরই সূত্র ধরে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে যুবলীগ নেতা (শাহীনুজ্জামান শাহীন গ্রুপের) আল আমিন আত্মীয়ের বাড়ি থেকে দাওয়াত খেয়ে মোটরসাইকেলযোগে বাড়িতে আসছিলেন। পথিমধ্যে রানিনগর ক্লাবের সামনে পৌঁছালে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে তাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করলে মাঝপথে গিয়ে মৃত্যু হয় তার। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সুজানগর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সরদার রাজু আহমেদ বলেন, আল আমিন মিয়া রানিনগর ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য। তাকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার সঠিক তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাই।
আমিনপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ বলেন, পূর্ব শত্রুতা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসছি। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলতে পারব।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদন্নোতিপ্রাপ্ত) মো. মাসুদ আলম বলেন, সুজানগর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনকে ঘিরে আগে থেকেই ওই এলাকায় অস্থিরতা বিরাজ করছে। এরই সূত্র ধরে আজকে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। মারা যাওয়া ব্যক্তির মাথায় গুরুতর আঘাত রয়েছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা গেছেন। আমরা ঘটনা সঠিকভাবে তদন্ত করছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।