নীলফামারীতে ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি মামলার আসামি গ্রেপ্তার

নীলফামারী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ জুন ২০২৪, ১১:১১ এএম

গ্রেপ্তারকৃত আসামি আবু আজাদ। ছবি : সংগৃহীত
নীলফামারীর ডোমারে ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি মামলার একমাত্র আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১৩, সিপিসি-২, নীলফামারী ক্যাম্প আভিযানিক দল জেলার ডোমার উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ডোমার থানাধীন ৭ নম্বর বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের বাগডোগরা গ্রামের চিলাহাটি রোডগামী খুলখুলি ব্রিজের উপর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়৷
গ্রেপ্তারকৃত আসামি পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ থানার খারিজা ভাজনী তালতলা (ডাঙ্গাপাড়া) গ্রামের মো. আতাউর রহমান এর ছেলে আবু আজাদ (৩০)।
র্যাব জানায়, র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষে সব ধরনের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। এছাড়াও নিয়মিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, সংঘবন্ধ অপরাধী, মাদক, ছিনতাইকারী, প্রতারক, ডাকাতসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের বিরুদ্ধে র্যাবের ব্যাপক অভিযান অব্যাহত থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় ডোমার থানার মামলা নং-১৪ তারিখ ২০/০৪/২০২৪, ধারা- ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী-২০০৩) এর ৯(১) মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরো পড়ুন : বড় বোনের সঙ্গে কাবিন, ছোট বোনের সঙ্গে সংসার!
মামলার আরজি সূত্রে জানা যায়, গত ০১/১১/২৩ তারিখে অত্র মামলার আসামি আবু আজাদ অত্র মামলার বাদীর স্বামীর অনুপুস্থিতে তার বাড়িতে যায় এবং বাড়িতে কোনো লোক না থাকার সুযোগে তাকে জড়িয়ে ধরে আপত্তিকর ছবি তোলেন। এতে বাদী ক্ষিপ্ত হয়ে ছবি ডিলেট করতে বললে আসামি জানান ভবিষ্যতে এমন করবে না এবং ছবি ডিলেট করেছেন বলে তাকে আশ্বস্ত করে। পরে আসামি তার সঙ্গে শারিরীক সম্পর্ক না করে তাহলে উক্ত ছবিগুলো তার স্বামীর মোবাইল এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়ে দিয়ে তার সংসার নষ্ট করার হুমকি দেয়।
উক্ত ঘটনার ২ মাস পর ০২/০১/২৪ তারিখে রাত ৮টার সময় আসামি আবারো তার বাড়িতে আসেন। সেদিনও তার স্বামী বাড়িতে না থাকার সুযোগে মোবাইলে ধারণ করা ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে তাকে ব্লাকমেইল করে ঘরের দরজা লাগিয়ে গোপনে শোকেজের উপর মোবাইল রেখে ক্যামেরা চালু করে জোর পূর্বক ধর্ষণ এবং ভিডিও ধারণ করে।
পরে আসামি ফোন দিয়ে জানায় যে এখন থেকে তার শারিরীক চাহিদা না মেটালে তার ধর্ষণের ভিডিও তার স্বামীর মোবাইলে ছেড়ে দিয়ে সংসার নষ্ট করবেন। উক্ত কথা শুনার পর বাদী চিন্তায় পড়ে যান এবং মোবাইল চালানো বন্ধ করে দেন এবং আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নেন। গত ২৯/০২/২৪ তারিখে স্বামীর অনুপুস্থিতে ঘরের দরজা বন্ধ করে আত্নহত্যার চেষ্টা করলে তার ৭ বছরের কন্যা দেখে কান্না শুরু করলে বাদীর দেবর দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে তাকে রক্ষা করে। পরে বাদীর কাছে তার আত্নহত্যার কারণ জানতে চাইলে উপরোক্ত ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ জানান।