নতুন সেনাপ্রধানকে অভিনন্দন জানিয়েছে শেরপুর জেলা উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদ

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ জুন ২০২৪, ০৫:৪৮ পিএম

ওয়াকার-উজ-জামান
নতুন সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে অভিনন্দন জানিয়েছে শেরপুর জেলা উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদ। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের প্রধান সমন্বয়কারী মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, সেনাবাহিনীর শীর্ষ পদে শেরপুর জেলার একজন কৃতি সন্তানকে নিয়োগদান করায় সরকার প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি শেরপুর জেলার পক্ষ থেকে আমরা কৃতজ্ঞতা জানাই। শেরপুর জেলায় আজ আনন্দের বন্যা বইছে। এই নিয়োগের মাধ্যমে শেরপুর জেলার উন্নয়ন ও ভাবমর্যাদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে।
অবহেলিত শেরপুর জেলার উন্নয়নে জনাব ওয়াকার-উজ-জামান মহোদয়ের ভূমিকা ব্যাপক সফলতা বয়ে আনবে এতে কোন সন্দেহ নেই। আগামী ২৩ জুন থেকে এ নিয়োগ কার্যকর হবে। তিনি বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদের স্থলাভিষিক্ত হবেন।
মঙ্গলবার (১১ জুন) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আগামী ২৩ জুন অপরাহ্ন থেকে বিএ-২৯০২ লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে জেনারেল পদবিতে পদোন্নতি প্রদানপূর্বক ওই তারিখ অপরাহ্ন থেকে ৩ বছরের জন্য সেনাবাহিনী প্রধান পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ১৯৮৫ সালের ২০ ডিসেম্বর ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সদস্য হিসেবে ১৩ তম দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের সঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। সামরিক জীবনের শুরু থেকেই বিভিন্ন কোর্সে ভালো ফলাফলের ক্রমধারায় তিনি ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড ও স্টাফ কলেজ, মিরপুর থেকে সাফল্যের সঙ্গে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেন।
পরবর্তী সময়ে তিনি জয়েন্ট সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ, যুক্তরাজ্য থেকেও গ্র্যাজুয়েট হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেন। তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় প্রথম শ্রেণিতে মাস্টার্স অব ডিফেন্স স্টাডিজ (এমডিএস) সম্পন্ন করেন এবং যুক্তরাজ্যস্থ কিংস কলেজ, ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে মাস্টার্স অব আর্টস ইন ডিফেন্স স্টাডিজ ডিগ্রি অর্জন করেন।
তার সুদীর্ঘ ৩৯ বছরের বর্ণাঢ্য সামরিক জীবনে কমান্ড, স্টাফ ও প্রশিক্ষকের অভিজ্ঞতায় পরিপূর্ণ। তিনি ২০০৯ সালে ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১০ সালে ৮ জুন পর্যন্ত ১৭ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের উপ-অধিনায়ক ও অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। এসময় তিনি তৎকালীন বিডিআর বিদ্রোহ দমনে নিষ্ঠা ও বিচক্ষণতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করেন।
তিনি ২০১১ সালের ২৭ জুলাই থেকে ২০১৩ সালে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত দুই বছরেরও বেশি সময় ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। জিওসি হিসেবে ২০১৪ সালের ২ এপ্রিল থেকে ২০১৭ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিন বছর নবম পদাতিক ডিভিশন কমান্ড করেন।
এরিয়া কমান্ডার, সাভার এরিয়া ও জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) নবম পদাতিক ডিভিশন হিসেবে তিনি টানা তিন বছর সফলভাবে বিজয় দিবস প্যারেড ২০১৪, ২০১৫ ও ২০১৬ এর প্যারেড কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন। এই বিরল কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ‘সেনাগৌরব পদক’ (এসজিপি) এ ভূষিত হন।