পুলিশ ফাঁড়িতে পাবলিক প্রসিকিউটরকে পেটালেন আ. লীগ সভাপতি!

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ জুন ২০২৪, ০৯:৩৩ পিএম

বাঁ দিকে ভুক্তভুগি অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল ও ডান দিকে যশোর জেলা আ. লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন। ছবি: ভোরের কাগজ
যশোরে পুলিশ ফাঁড়ির মধ্যেই একজন পাবলিক প্রসিকিউটরকে পিটিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন।
রবিবার (৯ জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন আক্রমণের শিকার অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল।
তিনি নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনাল ২ এর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এবং যশোর সরকারি সিটি কলেজের সাবেক ভিপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক।
বিষয়টি নিয়ে মোবাইল ফোনে অ্যাড. মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল জানান, আইনজীবী সমিতির (২য় ভবন) সামনের ফুটপাথে কিছু ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ী টেবিল পেতে কাপড় বিক্রি করেন। সেখানে এক ব্যবসায়ীকে জোর করে উঠিয়ে, অন্য একজনকে বসানোর চেষ্টা করেন শাহীন নামে একজন। এ নিয়ে ব্যবসায়ীদের একটি পক্ষ পার্শ্ববর্তী পুরাতন কসবা পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ দেন। এরপর এসআই হেলাল মীমাংসার জন্য শাহীনসহ অন্য ব্যবসায়ীদের ডেকে পাঠান। একইসঙ্গে তাকেও অ্যাডভোকেট মুকুলকেও ফাঁড়িতে ডেকে নেন। কিন্তু হঠাৎ করে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন একদল যুবক নিয়ে ফাঁড়িতে ঢুকে তাকে ধান্দাবাজি করিস মন্তব্য করে মারপিট শুরু করে।
মুকুল আরো জানান, সোমবার (১০ জুন) এ ঘটনায় জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতিসহ সিনিয়র আওয়ামী লীগ নেতাদের অবহিত করেন তিনি। এবং আইনজীবী সমিতির সভাপতি সম্পাদক বরাবর অভিযোগও দেন মুকুল।
এ ব্যাপারে পুরাতন কসবা পুলিশ ফাঁড়ির টিএসআই এসআই রেজাউল করিমকে মুঠো ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও পরে তা সম্ভব হয়নি। তবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোছাইন জানিয়েছেন, ফাঁড়িতে ব্যবসায়ীদের নিয়ে একটি গোলযোগ মীমাংসা হচ্ছিলো। কিন্তু সেখানে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে বলে আমার জানা নেই।
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, 'মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল একজন পাবলিক প্রসিকিউটর। তাকে কি কারণে মারবো?। আমি ফাঁড়িতে গিয়েছিলাম দারোগাকে দাঁবড়াতে। মানে ব্যাপার হয়েছে কি অ্যাডভোকেট মুকুল ও বাচ্চু সাহেব ফুটপাত ইজারা দিয়ে খায়। আমাদের একটা ছেলে (শাহীন) গেছে সেখানে দোকান বসানোর জন্য। মুকুল সাহেব ফাঁড়িতে অভিযোগ দিলে দারোগা সাহেব সেই ছেলেটিকে ডেকে পাঠায়। আমি তাকে ফাঁড়িতে যেতে বলি। কিন্তু মুকুল সাহেব দারোগাকে দিয়ে ছেলেটাকে ভালো মতন পিটিয়েছে। বিষয়টি জানার পর ওসি এসপিকে জানিয়ে আমি ফাঁড়িতে যাই। পরে ওসি ও অ্যাডিশনাল এসপি ফোন দিয়ে আমাকে জানায় যা হওয়ার হয়ে গেছে আপনি ছেলেটাকে নিয়ে যান আমরা ওই দারোগার বিরুদ্ধে অফিশিয়ালি ব্যবস্থা নেব। এরপর আমি সেখান থেকে চলে আসি। মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল একজন আইনজীবী আমি ওনাকে কেনো মারতে যাবো।'