বাংলাদেশ-জাপান ছাত্র বিনিময় চুক্তির প্রথম ছাত্র আরেফিন

ঝিকরগাছা (যশোর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭ জুন ২০২৪, ০৩:০৫ পিএম

ছবি: ভোরের কাগজ
বাংলাদেশের রাজশাহী ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (রুয়েট) বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জাপানের সাইতামা ইউনিভার্সিটির ছাত্র বিনিময় চুক্তির প্রথম ছাত্র নেওয়াজ আরেফিন রাফিদ। তিনি যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়া গ্রামের আকবর আলী (ইটালী প্রবাসী) ও গৃহিনী রীপা সুলতানার ছেলে।
রাজশাহী ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (রুয়েট) এবং জাপানের সাইতামা ইউনিভার্সিটি ২০১৮ সালে একটি এমওইউ(সমঝোতা স্মারক) স্বাক্ষর করে। যার অংশ হিসাবে রুয়েটের ইতিহাসে প্রথমবারের মত ছাত্র বিনিময় কর্মসূচী হিসাবে ২জন শিক্ষার্থী জাপানের সাইতামা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছেন। তার একজন হলেন নেওয়াজ আরেফিন রাফিদ। চুক্তি সফল করার জন্য রুয়েটের প্রফেসর ড. মো. ইমদাদুল হক এবং ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. ইঞ্জি. মো. জাহাঙ্গির আলাম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। এই ছাত্র বিনিময় কর্মসূচী রুয়েট এবং সাইতামা ইউনিভার্সিটির মধ্যে সম্পর্ক যেমন দৃঢ় করবে তেমনি বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরোভালো হবে। বর্তমানে সাইতামা ইউনিভার্সিটি গ্রীষ্মকালীন প্রোগ্রাম ২০২৪ এ অংশ নিতে জাপানে গেছেন নেওয়াজ আরেফিন রাফিদ। এই সময়ে তিনি সাইতামা ইউনিভার্সিটির ফ্লুইড মেশিনারি ল্যাবে প্রফেসর কাং ডংহিউকের অধীনে গবেষনার কাজ করবেন। এ প্রোগ্রামে বিশ্বের ১০টি দেশ থেকে মোট ১৫জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। যার ভিতর বাংলাদেশের রুয়েট থেকে ২জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে।
আরো পড়ুন: গরিব মানুষের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি যে বিভাগে
রুয়েট তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইডে লিখেছেন, আমরা বিশ্বাস করি তাদের অভিজ্ঞতা শুধুমাত্র শিক্ষাগতভাবেই তাদের উপকৃত করবে না বরং আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাব সুবিধার উন্নয়নেও অবদান রাখবে। রাফিদ ও মোহাম্মদ মোস্তাফিদুর রহমান দুইজনকে সফল অনুষ্ঠানের জন্য শুভেচ্ছা জানাই।
নেওয়াজ আরেফিন রাফিদের স্কুল জীবন শুরু হয় বাঁকড়া মুন এডাস ইন্সটিটিউট থেকে। খুলনা সেন্ট জোসেফস হাই স্কুল থেকে এসএসসি এবং সরকারি মজিদ মেমোরিয়াল সিটি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে যন্ত্রকৌশল বিভাগে ভর্তি হন। ২০২৪ সালের মার্চে যন্ত্রকৌশল বিভাগ হতে ফার্স্ট ক্লাস পেয়ে পাস করেন। তার এ সাফল্যের পেছনে পিতা-মাতাসহ নানা নুরুজ্জামান এবং নানি আঞ্জুমানারা জামানেরঅবদান আছে বলে রাফিদ জানান।