ঘূর্ণিঝড় আইলার ১৫ বছর
ক্ষতিগ্রস্ত অনেক পরিবারের রাত কাটছে বেড়িবাঁধে

বাবুল আকতার, খুলনা ব্যুরো
প্রকাশ: ২৫ মে ২০২৪, ০৬:৩৪ পিএম

ছবি: ভোরের কাগজ
আজ সেই ভয়াবহ ২৫ মে। ২০০৯ সালের এই দিনে বয়ে যাওয়া প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের আঘাতে মুহূর্তের মধ্যে লোনা পানিতে তলিয়ে যায় গোটা দক্ষিণ-পশ্চিমের উপকুল। লণ্ড ভণ্ড হয় সুন্দরবন, খুলনার কয়রা, দাকোপ, পাইকগাছাসহ উপকূলীয় বেশ কিছু উপজেলা। সবুজ, শস্য-শ্যামলে ভরা এ জনপদ স্তম্ভিত হয়ে যায়। প্রাণহানী ঘটে প্রায় অর্ধ শতাধিক মানুষের। ঘর-বাড়ি, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মন্দির, রাস্তা-ঘাট, সেতু-কালভার্ট, মাছ-ফসল, গাছ-পালা, গৃহ-পালিত প্রাণীসহ ভেসে যায় মানুষের নিত্য ব্যবহার্য জিনিসপত্র।
আজ থেকে ১৫ বছর আগে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উপকূলবাসীর জন্য এ দিনটি ছিল অভিশপ্ত। এই দিনটির কথা মনে করলে আজও ভয়ে শিওরে ওঠে উপকূলবাসী। স্বজন হারানোদের মনে করিয়ে দেয় তাদের প্রিয়জনের মুখখানি। মাটি দেয়ার জায়গার অভাবে অনেকের লাশ ভাসিয়ে দিতে হয়েছে।
দেখতে দেখতে আইলার ১৫ বছর পার হলেও এখনো ক্ষতিগ্রস্ত বহু পরিবার ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে ১৫ বছর ধরে দুর্যোগের সঙ্গে যুদ্ধ করে আজও টিকে আছে এ অঞ্চলের অসহায় মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত অনেক পরিবারের বেড়িবাঁধের উপরই এখনও রাত কাটছে।
সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, দক্ষিণ বেদকাশি, উত্তর বেদকাশি, কয়রা সদর ও মহারাজপুর ইউনিয়নের পাউবোর বেড়িবাঁধের ওপর এখনো অনেক মানুষ সেই থেকে ঝুপড়ি বেঁধে বসবাস করে আসছে। মাথা গোজার ঠাই না পেয়ে শত কষ্টের মধ্যে দিয়ে বেড়িবাঁধকে আঁকড়ে ধরে রেখেছে তারা।
তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সহায় সম্পদ বলতে যা কিছু ছিল তার সবটুকু জলোচ্ছ্বাসে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। তাছাড়া ওই সময়কার নদীর প্রবল ভাঙনে শাকবাড়িয়া, কপোতাক্ষ ও কয়রা নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষের বসতভিটা, আবাদি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। গাছপালা শূন্য কয়রা উপজেলার পরিবেশ এখনো সম্পূর্ণ ফিরে পায়নি তার পূর্বের রূপ। যে কারণে শুকনা মৌসুমে প্রচণ্ড তাপদাহে মানুষের জীবনে বিপর্যয় নেমে এসেছে।
লবণাক্ততার কারণে হাজার হাজার হেক্টর ফসলি জমিতে কৃষকরা আজো ঠিকমতো ফসল লাগাতে পারছে না। তবে স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, অত্র এলাকায় কৃষকরা আইলার পর থেকে বিগত কয়েক বছর ধরে বেশকিছু জমিতে ফসল উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছে। এখনো লবণাক্ততার গ্রাস থেকে পূর্নাঙ্গ রক্ষা পায়নি সমগ্র কয়রা এলাকা। ভেঙে যাওয়া ভয়াবহ পবনা বাঁধ, হারেজখালি, পদ্মপুকুর, শিকারিবাড়ি, পাথরখালি মেরামত হলেও সেই থেকে ১৫ বছর কেটে গেলেও কয়রার ক্ষতিগ্রস্ত ৬টি ইউনিয়নের কপোতাক্ষ ও শাকবাড়িয়া নদীর পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রায় ৬০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধে পর্যাপ্ত মাটি নেই। সুদীর্ঘ কাল ধরে এ সব বেড়িবাঁধে পাউবো কর্তৃপক্ষ মাটি না দেয়ায় বাঁধগুলোর সর্বত্র দুর্বল অবস্থা বিরাজ করছে। দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের আংটিহারা, খাসিটানা, জোড়শিং, মাটিয়াভাঙা উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নের গাতিরঘেরি, গাববুনিয়া, গাজিপাড়া, কাটকাটা, কয়রা সদর ইউনিয়নের ৬ নম্বর কয়রা, ৪ নম্বর কয়ড়ার পুরাতন লঞ্চঘাট সংলগ্ন এলাকা, ঘাটাখালি, হরিনখোলা, মহারাজপুর ইউনিয়নের উত্তর মঠবাড়ি, দশালিয়া, লোকা, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের কালীবাড়ি, নয়ানি, শেখেরটেক এলাকার বেড়িবাঁধগুলো অধিকতর ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এ সব বেড়িবাঁধ সংস্কার করা না হলে যে কোনো মুহূর্তে ভেঙে আবারো গোটা উপজেলা লোনা পানিতে তলিয়ে যেতে পারে। ইতোমধ্যে গাজী পাড়া বাধ ভেঙ্গে এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তাছাড়া কাটকাটার অবস্থা ভয়াবহ।
আরো পড়ুন: উপকূলীয় এলাকায় লঞ্চ চলাচল বন্ধের নির্দেশ
এ ছাড়া কয়রা সদর ইউনিয়নের মদিনাবাদ লঞ্চঘাট থেকে গোবরা পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার, হরিণখোলা-ঘাটাখালী এলাকায় এক কিলোমিটার, ৬ নম্বর কয়রা এলাকায় ৬০০ মিটার, ২ নম্বর কয়রা এলাকায় ৫০০ মিটার, মহারাজপুর ইউনিয়নের মঠবাড়ি-দশহালিয়া এলাকায় দুই কিলোমিটার, উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নের কাটকাটা থেকে শাকবাড়িয়া গ্রাম পর্যন্ত এক কিলোমিটার, কাশির হাটখোলা থেকে কাটমারচর পর্যন্ত ৭০০ মিটার, পাথরখালী এলাকায় ৬০০ মিটার ও মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের শেখেরকোনা, নয়ানি, শাপলা স্কুল, তেঁতুলতলার চর ও চৌকুনি এলাকায় তিন কিলোমিটারের মতো বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে।
স্থানীয় এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সেই সময় গোটা জনপদে মানুষের কোনো কর্মসংস্থান না থাকায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাড়ি জমালেও ১৫টি বছর শেষে তারা অনেকে এখনো বাস্তুভিটায় ফিরতে পারিনি। আইলার ধ্বংস লীলায় ক্ষতিগ্রস্ত কয়রার মানুষের দাবি টেকসই পদ্ধতিতে বেড়িবাঁধ নির্মিত না হলে আগামী দিনগুলো এ অঞ্চলে তাদের বসবাস করা দুরূহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে। আইলার জলোচ্ছ্বাসের পর থেকে এখানকার মানুষ খাবার পানির উৎস হারিয়ে বিশুদ্ধ পানির জন্য হাহাকার করছে। অনেক জায়গায় অসহায় মানুষগুলো দীর্ঘ ১০/১২ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে নলকূপ থেকে খাবার পানি সংগ্রহ করছে। ওই সব এলাকায় পরিকল্পনা মাফিক গভীর নলকূপ স্থাপন ও পুকুর সংস্কার করে পিএসএফ স্থাপন করা গেলে খাবার পানির সংকট থেকে পরিত্রাণ মিলতে পারে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন অনেকেই। আইলায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ঠিকমতো সংস্কারের অভাবে আজো জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। প্রায় তিন লক্ষাধিক মানুষের দুর্যোগকালীন সময় নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্র নির্মিত হয়েছে। তবে এটি পর্যাপ্ত নয় বলে জানা গেছে। উপজেলার অভ্যন্তরীণ রাস্তাঘাটগুলো এখনো পুরোপুরি সংস্কার না হওয়ায় অনেকের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ঝড় থেমেছে, দীর্ঘ ১৫ বছরে কিন্তু কান্না থামেনি
আইলার তাণ্ডবে বিধ্বস্ত খুলনার দাকোপ উপকূলের মানুষের পাশে কেউ নেই। বিশুদ্ধ খাবার পানির হাহাকারে উপজেলার প্রায় দেড় লক্ষাধিক মানুষ। এইদিন এলেই স্বজন হারা কাঁন্নাই আইলা দুর্গত এলাকার আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠে এবং তাদের প্রিয় ছেলেমেয়ে, বাবা-মা, ভাই-বোন, স্বামী-স্ত্রী হারাদের আত্মার শান্তি কামনায় বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে যায়। আবার কোনো কোনো পরিবার পৈত্রিক সম্পত্তি বসতভিটা, ঘরবাড়ি সহায় সম্বল হারিয়ে জীবন জীবিকার সন্ধানে চলে গেছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। বর্তমানে আইলা দুর্গত এলাকার গ্রামে গ্রামে চলছে খাদ্যবস্ত্র বাসস্থান ও বিশুদ্ধ খাবার পানির তীব্র সংকট।
ঘরবাড়ি হারা দুটি উপজেলার এখনো প্রায় সাড় তিন হাজার পরিবার তাদের বসতভিটা নদী গর্ভে হারিয়ে এবং অনেকে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে বাড়ি ফিরতে পারছে না। ওই সহ পরিবার তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে বাঁধে আশ্রয় গ্রহণ পূর্বক মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
আরো পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় পটুয়াখালীতে প্রস্তুত ৭০৩ সাইক্লোন শেল্টার
খুলনার উপকূলীয় দাকোপ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রাম ঘুরে এমন চিত্রই পাওয়া গেছে। বর্তমানে আইলাদুর্গত দাকোপ উপজেলার কামারখোলা ও সুতারখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে মানুষের কপালে কোনো রকম দু বেলা দু মুঠো ভাত জুটলেও কিন্তু পানি জোটা দায় হয়ে পড়েছে। ওই সব গ্রামের বেড়িবাঁধের উপর আশ্রিত মানুষের ঘর নেই, জমি নেই, স্কুল নেই, নেই খাবার পানি। এখনো বিভিন্ন স্থানের দুর্গত মানুষেরা লোনা পানিতে হাবুডুবু খাচ্ছে। এলাকায় দিনমজুর শ্রমিকের কোনো কাজ নেই। দুর্গত এলাকায় ঘরে ঘরে চলছে নীরব দুর্ভিক্ষ। সরকারি বেসরকারি ভাবে ত্রাণ হিসাবে পাওয়া পলিথিন এবং বাঁশ খুটি লাগিয়ে ঝুপড়ির মধ্যেই মানবেতর বসবাস করছে দুর্গত এলাকার পরিবার পরিজনেরা।
সুতারখালী ইউনিয়নের গুনারী গ্রামের তৈয়বুর রহমান, ফজলুল গাজী, কালিপদ সানা, মহিবুর মীর কামারখোলা ইউনিয়নের ফকিরডাংঙ্গা গ্রামের অবনী রায়, প্রহলাদ মণ্ডল, বিনোদ বিহারী রায়, শফিকুল ঢালী জানায়, আইলার পরবর্তী সময় অনেক জনপ্রতিনিধিদের পদচারণা দেখা গেছে এবং তারা আমাদেরকে পুনর্বাসন করার জন্য অনেক প্রতিশ্রুতিও দিয়ে ছিলো কিন্তু এখন তাদেরকে আর দেখা যায়না। বর্তমানে এলাকায় কোনো কাজ না থাকায় আমাদের পরিবারের পরিজন নিয়ে আমরা অনেক দুর্দিনে রয়েছি। এখন আমাদের খোঁজ কেউ রাখেনা। এলাকায় খাবার পানির উৎস যে সব পুকুর ছিলো সে গুলো সবই প্রায় শুকিয়ে গেছে। কোথাও খাবার পানি তেমন একটা মিলছে না। ভাত না খেয়ে থাকা যায় কিন্তু একটু খানি পানির তৃষ্ণা মিটাবার জন্য এলাকায় চলছে হাহাকার। এলাকাবাসীরা বলছে আমরা দুর্গতরা ভাত কাপড় চাইনা আমরা খাবার পানি চাই।
সুতারখালী ইউনিয়ন সূত্রে জানা যায়, এই ইউনিয়নে প্রতিদিন ১ লাখ লিটার খাবার পানির প্রয়োজন। প্রতিটি গ্রামে খাবার পানির জন্য হাহাকার চলছে। এখনো পর্যন্ত এ ইউনিয়নের অনেক পরিবার অর্থনৈতিক অভাবের কারণে গৃহ নির্মাণ করতে না পারায় তারা খোলা আকাশের নিচে ওয়াপদা বেড়িবাঁধের উপর মানবেতর জীবন যাপন করছে।
এদিকে সম্প্রতি বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় রেমেল মোকাবেলায় পাউবো কর্তৃপক্ষ ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে বলে জানা গেছে। এ মুহূর্তে কয়রার প্রায় ১২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের কোথাও কোথাও দেড় থেকে দুই হাত মাটি অবশিষ্ট রয়েছে। বাঁধের অনেক জায়গা দিয়ে বড় জোয়ারে উপচে পানি ছাপিয়ে পড়বে।
বেড়িবাঁধের স্পর্শকাতর স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে উপজেলার ১৩-১৪/২ নম্বর পোল্ডারের হরিনখোলা ও ঘাটাখালি এলাকায় ১৭০০ মিটার, উত্তর বেদকাশির কাঠমার চর ১০০ মিটার, হোগলা ৪০ মিটার, দশালিয়া থেকে হোগলা পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার বেড়িবাঁধ খুবই নিচু ছোটখাটো যেকোনো দুর্যোগ গেলেই পানি উপচে লোকালয় প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আরো পড়ুন: ‘সিভিয়ার সাইক্লোনে’ রূপ নিতে পারে রেমাল
খুলনা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় জানায়, গত এক দশকে মে মাসে সাতটি ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছে। এর মধ্যে ২০০৯ সালের ২৫ মে ঘূর্ণিঝড় আইলা, ২০১৩ সালের ১৬ মে ঘূর্ণিঝড় মহাসেন, ২০১৬ সালের ২১ মে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু, ২০১৭ সালের ৩০ মে ঘূর্ণিঝড় মোরা, ২০১৯ সালের ৪ মে ঘূর্ণিঝড় ফণী, ২০২০ সালের ২০ মে আম্পান, ২০২১ সালের ২৬ মে ইয়াসে সুন্দরবন সংলগ্ন কয়রায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ কারণে মে মাসেই আরেকটি ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাসে আতঙ্কিত কয়রার মানুষ।
কয়রা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোস্তফা শফিকুল ইসলাম বলেন, কয়রার প্রধান সমস্যা নদী ভাঙন। এটি রোধ করা গেলে মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারবে। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বেড়িবাঁধ এখনো ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জরুরি ভিত্তিতে দেখা দরকার।
খুলনা পাউবোর উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মশিউল আবেদীন বলেন, কয়রার বেড়িবাঁধের ঝুকিপূর্ণ স্থান গুলো চিহ্নিত করে পাউবোর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সেগুলোর কাজ করা হবে। তাছাড়া যেকোনো দুর্যোগ মোকাবেলায় আমরা সর্বক্ষণ প্রস্তুত আছি।
অন্যদিকে জলবায়ু পরিবর্তন ও অধিপরামর্শ বিষয়ে দক্ষতা উন্নয়নে খুলনায় ২ দিনব্যাপী কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। শুক্রবার (২৪ মে) সকালে খুলনা সি এস এস আভা সেন্টারে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা লিডার্সের আয়োজনে এবং "ব্রেড ফর দ্যা ওয়ার্ল্ডের" আর্থিক সহযোগিতায় "জলবায়ু পরিবর্তন ও অধিপরামর্শ" বিষয়ে দক্ষতা উন্নয়ন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
সাতক্ষীরা, বাগেরহাট ও খুলনা জেলা এবং শ্যামনগর, আশাশুনি, ও কয়রা উপজেলা জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের ৩০ জন নেতৃবৃন্দ এই কর্মশালাতে অংশগ্রহণ করছেন। এই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীরা জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করবেন। এছাড়াও, অধিপরামর্শ প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও কৌশল নিয়ে বিশদ আলোচনা করা হবে। প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেছেন বিভিন্ন সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, নীতি নির্ধারক, শিক্ষক, সাংবাদিক এবং বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা, যারা তাদের অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান শেয়ার করবেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন লিডার্সের নির্বাহী পরিচালক জনাব মোহন কুমার মণ্ডল। তিনি সভার শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্যের মাধ্যমে কর্মশালার সূচনা করেন। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, "আমাদের লক্ষ্য হলো বিভিন্ন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের জলবায়ু পরিবর্তন ও অধিপরামর্শ বিষয়ে দক্ষতা বৃদ্ধি করা, যাতে তারা সমাজে আরো কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেন।"
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার খুলনা বিভাগের পরিচালক মো. তবিবুর রহমান।