বাজারে আসছে নাটোরের প্রসিদ্ধ মিষ্টি জাতের আম

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ মে ২০২৪, ০৫:২০ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
সুমিষ্ট আম উৎপাদনে দেশের চতুর্থ জেলা হিসেবে পরিচিত নাটোর। শনিবার (২৪ মে) জেলাটি থেকে বাজারে থেকে আম সরবরাহ শুরু হয়েছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে গত বছরের চেয়ে উৎপাদন কম হওয়ায় বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে আম। উৎপাদন কম থাকলেও ভালো দাম পাচ্ছেন বাগান মালিকরা। আর কৃষি বিভাগ দাবি করেছে, এবার আমের পুরো মৌসুমেই চড়া থাকবে দাম ।
শনিবার সকালে সদর উপজেলার কামার দিয়ার এলাকায় কৃষকদের সঙ্গে আম নামিয়ে চলতি আমের মৌসুমের উদ্বোধন করে স্থানীয় কৃষিবিভাগ।
নাটোর জেলার উৎপাদিত ১৩টি মিষ্টি জাতের আম উৎপাদন হয়। রবিবার (২৫ মে) থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে এই আম বাজার জাত হবে। কৃষি বিভাগ ও জেলা প্রশাসন আম নামানোর দিন ধার্য করে। গোপাল ভোগ ২৫ মে, খিরসাপাত ৩০ মে, রাণী পছন্দ ৩০ মে, লক্ষণভোগ ৫ জুন, ল্যাংড়া ১২ জুন, মোহন ভোগ ২০ জুন, হাড়িভাঙ্গা ২৫ জুন, আম্রপালি ২৫ জুন, ফজলি ৩০ জুন, মল্লিকা ৫ জুলাই, বারি-৪ ১০ জুলাই, আশ্বিনা ২০ জুলাই, গৌড়মতি ২০ আগস্ট বাজারে আসবে।
কৃষকরা বলেন, চলতি বছরের টানা ২ মাসের দাবদাহের কারণে কারণে আমের উৎপাদন হয়নি বলে জানান কৃষকরা। গত বছর প্রতিটি গাছে ৫ থেকে ৬ মণ আম উৎপাদন হলেও এবার উৎপাদন হয়েছে ১ থেকে ২ মণ। তবে গতবছরের চেয়ে এবার কেজিতে ২০ থেকে ২৫ টাকা দাম বেশি পাওয়ায় বেশি দাম থাকায় লোকসান গুনতে হবে না।
নাটোর কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, উৎপাদন কম থাকায় আমের পুরো মৌসুমে কৃষকরা ভালো দাম পাবেন। তবে চলতি সপ্তাহে বৃষ্টিপাত হলে আমের ক্ষতি হবে না বলে দাবি করেনে তিনি।
প্রথম দিকে নাটোরের স্টেশন বাজারের এক আমের আড়তদার বলেন, শনিবার সকালে আমের বাজারে গোপাল ভোগ, গুটি ও বৈশাখী আম স্বল্প পরিসরে সরবরাহ করেন কৃষকরা। প্রথম দিনে আম কম থাকায় পাইকারি ক্রেতাও কম ছিলো। গোপাল ভোগ ও বৈশাখী আমের প্রকার ভেদে ৪৫ থেকে ৭৫ টাকা কেজিতে পাইকারি বাজারে বিক্রি হয়।
চলতি বছর নাটোর জেলায় ৫ হাজার ৭১৮ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়ে হয়েছে। আর ৭৬ হাজার ৭৩৫ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের আশা করছে কৃষি বিভাগ।