পূর্বধলায় নির্বাচন ক্যাম্প ভাংচুর এবং দেশি অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৩

পূর্বধলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ০৫:৫২ পিএম

উদ্ধারকৃত দেশীয় অস্ত্র
নির্বাচনের বাকী আর মাত্র দুই দিন, এরই মধ্যে পূর্বধলায় নির্বাচনের মাঠ চরম উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। নির্বাচনকে ঘিরে চলছে অস্ত্রের মহড়া, ককটেল বিস্ফোরণ, নির্বাচনী ক্যাম্প ভাংচুর, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেই চলছে।
শুক্রবার (১৭ মে) রাতে জামতলা বাজারে চেয়ারম্যান প্রার্থী মাসুদ আলম টিপুর (আনারস) সমর্থকের উপর হামলা চালায় আসাদুজ্জামান নয়ন (দোয়াত কলম) গ্রুপের সমর্থকরা। এছাড়া অপর প্রার্থী এটিএম ফয়জুর সিরাজ জুয়েল (মোটরসাইকেল প্রতীক) এর নির্বাচনী ক্যাম্প ভাংচুর ও তার বাসার সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়েছে। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
খবর পেয়ে পূর্বধলা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আনে এবং বিপুল পরিমান দেশীয় অস্ত্র, মাইক্রোবাস ও একটি মোটরসাইকেলসহ তিনজনকে আটক করে।
আরো পড়ুন: নরসিংদীতে বজ্রপাতে মা-ছেলেসহ ৪ জনের মৃত্যু
পূর্বধলা থানার অফিসার ইনচার্জ রাশেদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, শুক্রবার রাতে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মাসুদ আলম টিপু (আনারস) সমর্থক আব্দুর রাশিদ ও রফিকের উপর অতর্কিত হামলা চালায় দোয়াত কলমের সমর্থকরা। হামলায় আব্দুর রশিদ ও রফিক আহত হয়। এ সময় অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী এটিএম ফয়জুর সিরাজ জুয়েল (মোটরসাইকেল প্রতীক) এর বাসার সামনে ককটেল চার্জ করা হয় এবং আগিয়া ইউনিয়নে বাট্ট্রা বাজারে মোটরসাইকেলের অফিস ভাংচুর করা হয়। এ সময় পুলিশের ধাওয়া খেয়ে মাইক্রোবাসসহ হাসপাতাল সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাদের গাড়ীর গতি রোধ করে এবং মাইক্রোবাস থেকে দেশি রামদা, চাইনিজ কুড়ালসহ বিভিন্ন অস্ত্র উদ্ধার করে এবং তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।
পূর্বধলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খবিরুর আহসান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় ১৭ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠ করতে প্রশাসন মাঠে কাজ করছে।
ওসি আরো জানান, এ ব্যাপারে পূর্বধলা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আসামী ধরতে পুলিশ মাঠে কাজ করছে।