মানিকগঞ্জে মা ও অন্তঃসত্ত্বা মেয়েকে মারধর, গ্রেপ্তার ১

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬ মার্চ ২০২৪, ১০:৪৩ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
মানিকগঞ্জের ঘিওরে জমি থেকে ছাগল ঘাস খাওয়ার জেরে প্রতিবেশীর শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে অনামিকা (১৯) নামে এক অন্তঃসত্ত্বা মেয়ে ও তার মা কবিতা দাশ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাতে উপজেলার গোলাপনগর গ্রামের নতুন বালুচর এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। ওই রাতেই আহতদের ঘিওর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
এদিকে এ ঘটনার জেরে বুধবার (৬ মার্চ) সকালে ৪ জনকে আসামী করে ঘিওর থানায় একটি মামলা করেছেন ভুক্তভোগী নারীর স্বামী রূপ কুমার দাশ। এ মামলায় এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক , তার স্ত্রী শাহানা আক্তার, ছেলে রাজ ও প্রতিবেশী শেফালী দত্ত।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়রা জানান, উপজেলার গোলাপনগর গ্রামের আলু ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাকের বাড়ির পাশের একটি জমিতে প্রতিবেশী রূপ দাশের স্ত্রী কবিতা দাশের একটি ছাগল প্রবেশ করে ঘাস খায়। কবিতা দাশ ছাগল আনতে গেলে জমির মালিক রাজ্জাক তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন। এক পর্যায়ে রাজ্জাক তার হাতের লাঠি দিয়ে কবিতাকে এলোপাতাড়ি আঘাত করলে ওই নারী মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। খবর পেয়ে কবিতার মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা অনামিকা (১৯) এগিয়ে আসলে রাজ্জাক তাকেও লাথি মেরে ফেলে দেন। এসময় আশেপাশের প্রতিবেশীরা এসে আহত নারীদের উদ্ধার করে ঘিওর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, অন্তঃসত্ত্বা নারী প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাতেই বাড়ি চলে গেছেন। কিন্তু তার মা কবিতা দাশ এখনো স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন। তার একটি হাত ভেঙে গেছে এবং মাথায় বেশ কয়েকটি সেলাই দেয়া হয়েছে।
ঘিওর ইউপি চেয়ারম্যান অহিদুল ইসলাম টুটুল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, উভয় পক্ষই মারামারির ঘটনায় জড়িত। এ ঘটনায় জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তি হওয়া প্রয়োজন।
অন্যদিকে ঘটনা প্রসঙ্গে জানতে ও এর সত্যতা যাচাইয়ে অভিযুক্ত আব্দুর রাজ্জাকের মুঠো ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
ঘিওর থানা অফিসার ইনচার্জ সুকুমার বিশ্বাস এ বিষয়ে জানান, এ ঘটনায় ৪ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই অভিযুক্ত শাহানা আক্তারকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।