চট্টগ্রাম-১৩
কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন

কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম)
প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৩৯ এএম

ছবি: ভোরের কাগজ
চট্টগ্রাম-১৩ আনোয়ারা-কর্ণফুলীতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কাঙ্ক্ষিত ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। সকাল থেকেই দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিচ্ছেন ভোটাররা। পুরুষ ভোটারদের তুলনায় কেন্দ্রগুলোতে নারী ভোটারদের উপস্থিতি তুলনামূলক অনেক বেশি।
রবিবার (৭ জানুয়ারি) সকাল আটটায় চট্টগ্রামের আনোয়ারায় বৈরাগ ইউনিয়নের গুয়াপঞ্চক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটারদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। যা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এর আগেই ভোটকেন্দ্রগুলোতে হাজির হন ভোটাররা। কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, ভোটাররা লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। ফলে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। শুধু কেন্দ্রে না বাইরে রাস্তা পর্যন্ত ভোটারদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
ভোটার মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান, আমাদের এই কেন্দ্রে সকাল থেকে ভিড়। পরিবেশ দেখে অনেক ভালো লাগছে। প্রচুর ভোটারের সমাগম ঘটেছে। সবাই নিজ নিজ পছন্দের প্রতীকে ভোট দিচ্ছে।
এর আগে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নির্বাচন কমিশনের পরিপত্র অনুযায়ী দেশের ইতিহাসে এই প্রথম ভোটের দিন ভোররাতে আনোয়ারা-কর্ণফুলীর ১১৮টি ভোটকেন্দ্রে পৌঁছানো হয় ব্যালট পেপার।
রবিবার ভোররাত তিনটার থেকে চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনে প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের কাছে ব্যালট পেপার বিতরণ করেন চট্টগ্রাম জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ফারহানা রহমান, রুবিনা ফেরদৌসী, জেলা পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ বিপিএম, উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ইউএনও মো. ইশতিয়াক ইমন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মোমিন, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফেরদৌস হোসেন।
এ সময় জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, ভোটগ্রহণের দিন সকালে ভোটকেন্দ্রে ব্যালট পেপার পৌঁছানোর জন্য কমিশন নির্দেশনা দিয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের পরিপত্র মতে নির্বাচনী দ্রব্যাদি বিশেষ নিরাপত্তায় চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের কেন্দ্রে-কেন্দ্রে পৌঁছে দেয়া হয়।
তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম-১৩ আসনে ভোটকেন্দ্র ১১৮টি। ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৮৬৪ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৮৯ হাজার ২৪৩ জন এবং মহিলা ভোটার ১ লাখ ৬৭ হাজার ৬২১ জন। প্রতি কেন্দ্রের নিরাপত্তায় ৯জন আনসার ও ২জন পুলিশ সদস্য থাকবে। এছাড়াও মাঠে সার্বক্ষণিক টহলে থাকবে ২ প্লাটুন সেনাবাহিনী, ৩ প্লাটুন বিজিবি ও ৩ জন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ৩ টি মোবাইল টিম।