চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধের পুরানবাজার হরিসভা এলাকা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। কয়েকটি স্থানে দেখা দিয়েছে ফাঁটল। ঝুঁকি এড়াতে হরিসভা এলাকায় বালিভর্তি বস্তা ফেলার কাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবি)।

চাঁদপুর পাউবি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. বাবুল আখতার জানান, মেঘনা নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে হরিসভা এলাকাটি ঝুঁকির মুখে রয়েছে। ৯০ মিটার এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ভাঙন ঠেকাতে বালিভর্তি বস্তা ফেলা হচ্ছে। ইতোমধ্যে এক হাজার বস্তা ফেলা হয়েছে। আরও বস্তা ফেলা হবে। এখানে মোট ১৫ হাজার বালিভর্তি বস্তা ফেলা হবে।

স্থানীয় বাসিন্দা বিমল ও কালু হাওলাদার বলেন, আমরা খুব আতংকে রয়েছি। যে কোনো সময় এলাকাটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। অনেকে ভাঙন আতঙ্কে এলাকা ছেড়েছেন।

চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্সের সহ-সভাপতি তমাল কুমার ঘোষ বলেন, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে এই এলাকাটি ঝুঁকির মধ্যে পড়ে। গত বছর হরিসভা এলাকায় ভাঙনে বেশকিছু বসতঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা প্রয়োজন।

চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মো. নাসিম উদ্দিন বলেন, হরিসভা এলাকা ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে। আইন-শৃঙ্খলাস্বাভাবিক রাখতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বাবুল আখতার জানান, চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধ দীর্ঘদিন যাবত সংস্কার করা হয়নি। একটি বাঁধ পাঁচ বা দশ বছর পরপর সংস্কার করতে হয়। কিন্তু তা করা হয়নি।

তিনি জানান, পুরো শহর রক্ষা বাঁধ সংস্কারের জন্য আমরা ৪৩০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প পাঠিয়েছি। এ প্রকল্প গত মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে স্থগিত করা হয়। মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, সমীক্ষা করে পুনরায় প্রকল্প দাখিল করতে। কিন্তু করোনার কারণে সমীক্ষার জন্য প্রকল্প তৈরি করা এখনো সম্ভব হয়নি।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধতন কর্মকর্তা, চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্সের নেতৃবৃন্দসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।