আধুনিকায়নে রাস্তা লণ্ডভণ্ড, জনদুর্ভোগ চরমে

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৫:৫৬ পিএম

রাণীনগর-কালীগঞ্জ রাস্তা এভাবেই খুড়ে রাখা হয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। ছবি: প্রতিনিধি।

রাণীনগর-আবাদপুকুর রাস্তার আমগ্রাম মোড় থেকে খানপুকুর মোড় পর্যন্ত রাস্তার এক পাশের পাকা অংশ তুলে খনন করে ফেলে রাখা হয়েছে। ছবি: প্রতিনিধি।
রাণীনগর উপজেলা গোলচত্বর থেকে কালীগঞ্জ পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার রাস্তা প্রশস্ত ও আধুনিকায়ন কাজ চলছে ঢিলেঢালাভাবে। এতে এলাকার কয়েকশ গ্রামের লাখো মানুষ পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। কচ্ছপগতির এ কাজে এলাকাবাসীর দুর্ভোগে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলম।
রাণীনগর উপজেলা গোলচত্বর থেকে নাটোরের সিংড়া উপজেলার কালীগঞ্জ পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার রাস্তা এলজিইডি থেকে দীর্ঘদিন আগে পাকাকরণ করা হয়। নওগাঁ থেকে রাণীনগর হয়ে সিংড়ার কালীগঞ্জ বাজারের মধ্য দিয়ে নাটোরের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের লক্ষে এলজিইডি থেকে রাস্তার কাজ পরে সড়ক ও জনপদ বিভাগে (সওজ) হস্তান্তর করা হয়। এরপর রাস্তাটি প্রশস্তকরণ, আধুনিকায়ন, মজবুত এবং ২৬টি কালভার্ট, ৪টি সেতু নির্মাণ করতে ১০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে টেন্ডার দেয়া হয়।
টেন্ডারের পর ২০১৯ সালের শুরুতে শুধুমাত্র তিনটি সেতু ও ৪-৫টি কালভার্টের কাজ শুরু করা হলেও এখন পর্যন্ত এসব কাজ শেষ করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এছাড়া ২২ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে আবাদপুকুর থেকে কালীগঞ্জ পর্যন্ত মাত্র ৮-১০ কিলোমিটার রাস্তার পাকা অংশ তুলে খোওয়া বালু দিয়ে ভরাট করা হয়েছে।
এছাড়া রাণীনগর-আবাদপুকুর রাস্তার আমগ্রাম মোড় থেকে খানপুকুর মোড় পর্যন্ত রাস্তার এক পাশের পাকা অংশ তুলে খনন করে প্রায় দুই মাস ধরে ফেলে রাখা হয়েছে। এতে ওই রাস্তার একপাশ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। এতে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। এছাড়া অবশিষ্ট প্রায় ১০-১২ কিলোমিটার খানাখন্দে ভরা রাস্তার কাজে এখনো হাত পড়েনি।
[caption id="attachment_191616" align="aligncenter" width="1277"]
পথচারীরা বলছেন, দীর্ঘদিন রাস্তাটি সংস্কার না করায় এবং গত বর্ষায় রাস্তার এমন বেহাল অবস্থা হয়েছে যে চলাচলে একদম অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এলাকার পূর্বাঞ্চল থেকে রাণীনগর এবং জেলা সদরে ব্যবসার জন্য ধান, চাল, সারসহ বিভিন্ন মালামাল পরিবহন, চিকিৎসা নিতে যাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছে। প্রতিটি যানবাহন চলছে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকার লাখো মানুষ।
এতে ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করে স্থানীয় সাংসদ ইসরাফিল আলম বলেছেন, প্রতি বছর রাস্তা-ঘাট, সেতু, কালভার্ট নির্মাণ ও সংস্কারে সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। কিন্তু ওই সব রাস্তা, সেতু, কালভার্টের কাজ যথা সময়ে না হওয়ায় এবং কিছু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কারণে সরকারের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।
এ ব্যাপারে নওগাঁ জেলা সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হামিদুল হক বলেন, রাণীনগর-কালীগঞ্জ রাস্তার কাজ শেষ করতে আগামী ৮ মে পর্যন্ত সময় রয়েছে। ইতোমধ্যে ঠিকাদারদের কাজ জোরদার ও শেষ করতে বেশ কয়েকটি পত্র দেয়া হয়েছে। আশা করছি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই তারা কাজগুলো শেষ করবেন।