শীতের কাঁপুনি নিয়েই কাজের সন্ধান

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৭ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৬:০৭ পিএম

শীত উপেক্ষা করে কাজের সন্ধানে শ্রমজীবীরা। ছবি: প্রতিনিধি।
গত কয়েক দিনের প্রবল শীতে রৌমারী উপজেলায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। প্রয়োজন ছাড়া ঘর কেউ বেরুতে পারছে না। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষরা। দুবেলা খাবার জোটাতে শীতের কাঁপন নিয়েই তারা বেরুচ্ছেন ঘর থেকে। কনকনে ঠাণ্ডা হওয়ায় এক অঞ্চল থেকে আরেক অঞ্চলে যাচ্ছেন।
উপজেলার বন্দবের ইউনিয়নের খঞ্জনমারা গ্রামের কৃষক আবুল কাশেম বলেন, শীতে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে। কোনো কাজ করা যাচ্ছে না। তারপরও কৃষি কাজ করতে হচ্ছে। শীতের তীব্রতা উপেক্ষা করে সকাল থেকেই মাঠে বেগুন ক্ষেতের পরিচর্যা করছেন তারা।
অপরদিকে, রাস্তায় দেখা মিলছে শ্রমজীবীদের। তারা কাজের সন্ধানে বের হয়েছেন। তারা জানান, শীতে ঘরে বসে থাকলে তো পেটে ভাত দেখবে না। তাই কাজের খোঁজে বের হয়েছিল। আরেকজন বললেন, শীতের কারণে গৃহস্থরাও ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। তাই তারা সহজে শ্রমিকরাও নিচ্ছেন না।
রৌমারী বাজারে কাজের সন্ধানে আসা শ্রমিক সবুজ জানালেন, শীত যতোই হোক ঘরে বসে থাকার সময় নেই। কাজ না করলে সংসার চলবে কেমনে?
বৃস্পতিবার থেকেই উত্তরাঞ্চলে জেঁকে বসেছে শীত। রৌমারীতে সূর্যের দেখা মিললেও শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) আবারো কুয়াশা আর মেঘে ঢেকে গেছে পুরো আকাশ। সেই সঙ্গে কনকনে বাতাস। দুপুরের দিকে হালকা বৃষ্টি হয়েছে।
ছিন্নমূল মানুষরা সকাল-সন্ধ্যা আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করছেন। ভিড় বেড়েছে রৌমারী বাজারের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে চায়ের দোকানে। ভাপাপিঠার দোকানগুলোতেও বেশ ভিড়। কম দামে শীতের কাপড় কেনার চেষ্টা করছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
অপরদিকে, প্রচণ্ড ঠান্ডায় ভিড় বাড়ছে হাসপাতালগুলোতে। বিশেষ করে ঠান্ডাজনিত রোগে শিশুরোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সেই সঙ্গে বৃদ্ধরা কাহিল হয়ে পড়েছেন।
রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইমরান বলেন, সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে শীতের তীব্রতা বাড়ছে। শীতার্ত মানুষদের মধ্যে গত কয়েকদিন থেকে কম্বল বিতরণ শুরু হয়েছে। বিভিন্ন ইউনিয়নে কম্বল পাঠানো হয়েছে।