সীমিত সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহারে মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাই

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২২ জুলাই ২০২৩, ০৭:১৯ পিএম

শনিবার সকাল ১০টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়া একডেমিক ভবনে জাতীয় খরা সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ভোরের কাগজের প্রকাশক সাবের হোসেন চৌধুরী। ছবি: ভোরের কাগজ

শনিবার সকাল ১০টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় খরা সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ভোরের কাগজের প্রকাশক সাবের হোসেন চৌধুরী। ছবি: ভোরের কাগজ
খরা নিয়ে জনমত তৈরি ও সংকট উত্তরণে নীতিনির্ধারকদের দৃষ্টি আকর্ষণের লক্ষ্যে জাতীয় খরা সম্মেলন, ২০২৩ শুরু হয়েছে।
শনিবার (২২ জুলাই) সকাল ১০টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়া একডেমিক ভবনে এ সম্মেলন শুরু হয়। দিনব্যাপী এই অধিবেশনে চারটি সেশন অনুষ্ঠিত হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, এ দেশের কৃষিকে রক্ষা করতে হলে, আমাদের ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। কৃষির কাজে ভূ-উপরিতলের পানি ব্যবহার করতে হবে। তৃণমূলের মানুষের সমস্যার কথা শুনতে হবে। কৃষককে বাঁচাতে নীতি গ্রহণ করতে হবে। বন্যা কবলিত এলাকার পানিকে খরা প্রবণ এলাকায় স্থানান্তরের ব্যবস্থা নেয়া।
[caption id="attachment_449718" align="aligncenter" width="617"]
সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং ভোরের কাগজের প্রকাশক সাবের হোসেন চৌধুরী। অনুষ্ঠানে মূল বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সভাপতি এএনকে নোমান। খানির সহ-সভাপতি রেজাউল করিম সিদ্দিকের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, ওমর ফারুক চৌধুরী। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তার, একশন এডের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারা কবীর প্রমুখ।
সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, আগামী ৫০ বছরে বাংলাদেশের রূপ কেমন হবে সেটা নির্ভর করছে জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ সংরক্ষণ ও অপরাপর চ্যালেঞ্জগুলোকে আমরা কীভাবে সমাধান করবো তার ওপর। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পুরো বাংলাদেশ জুড়েই আছে। জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে আমাদের জন্য অস্তিত্ব সংকট। খরার পরিণতি ভয়াবহ। তাই জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য আমাদের কৌশলপত্র ও কর্মপরিকল্পনা নিতে হবে। সরকার সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায়। আমরা আমাদের সীমিত সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার করে মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাই।
সভাপতির বক্তব্যে রেজাউল করিম সিদ্দিক বলেন, আমরা সবসময় পাখির চোখে দেশকে দেখতে চাই। আমরা কৃষকের চোখ দিয়ে দেশকে দেখি না। বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষ কী প্রকল্প নিলো সেটি আমরা দেখি, কিন্তু আমার কৃষক বন্ধু কি চিন্তা করছে তা আমরা জানি না। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টানো দরকার। তৃণমূলের চোখ দিয়ে দেশটাকে দেখা দরকার। তাহলেই সমস্যার সমাধানে আমরা অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারব। এ অঞ্চলে আরো বেশি পানি সাশ্রয়ী গাছ, ধান রোপণ করতে হবে। সবাইকে সম্মিলিতভাবেই এ সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসতে হবে।
সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মারুফুলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য নাহিম রাজ্জাক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অক্সফাম বাংলাদেশের প্রোগ্রাম ডিরেক্টর মাহমুদা আক্তার, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপ-উপাচার্য (প্রো-ভিসি) প্রফেসর সুলতান-উল-ইসলাম ও অধ্যাপক হুমায়ন কবীর প্রমুখ।