শেষ জুমায় মসজিদে মসজিদে মেয়র প্রার্থীদের প্রচারণা : বরিশাল সিটি নির্বাচন

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ জুন ২০২৩, ০৯:২৩ এএম

আর মাত্র দুদিন পর ১২ জুন বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সেই হিসেবে গতকাল শুক্রবার ছিল ভোটের আগে শেষ জুমার নামাজ। তাই জুমার নামাজকে কেন্দ্র করে মসজিদে মসজিদে প্রচারণায় সরব ছিলেন মেয়র-কাউন্সিলর প্রার্থীসহ তাদের কর্মী-সমর্থকরা।
শুক্রবার নামাজ আদায় শেষে কর্মীরা যেমন মসজিদের সামনে লিফলেট বিতরণ করেন। তেমনি প্রার্থীরাও চেষ্টা করেছেন নামাজের খুতবা শেষে নিজের কথা ভোটারসহ নগরবাসীর সামনে তুলে ধরতে। আবার অনেক মসজিদে নেতাকর্মীরাও তুলে ধরেছেন ভোটারদের সামনে প্রার্থীর বার্তা।
বরিশাল নগরের বিবির পুকুরের পূর্ব পাড়ে কোর্ট মসজিদে নামাজ আদায় শেষে ভোটার জিয়াউল করিম জানান, নামাজ আদায় শেষে দেখলাম নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থীর কর্মীরা লিফলেট দিচ্ছেন। আবার একটু সামনে চকবাজার জামে এবায়েদুল্লাহ মসজিদের সামনে গিয়ে দেখতে পেলাম হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থীর লিফলেট বিতরণের দৃশ্য। কাউনিয়া এলাকার বাসিন্দা রায়হান আহমেদ রাজু জানান নামাজ শেষে মসজিদের সামনে দুই মেয়র প্রার্থীর পক্ষে লিফলেট বিলি করেন কর্মীরা।
আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত নগরের চৌমাথা এলাকার মারকাজ মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেন। সেখানে তিনি ভোটারসহ মুসল্লিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। পরে সেখানে থেকে বের হয়ে নগরবাসী ও সমর্থকদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এছাড়া তিনি চাঁদমারি বঙ্গবন্ধু কলোনিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার কথা বলেন।
অপরদিকে হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম নগরের চকবাজার জামে এবায়েদুল্লাহ মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেন। সেখানে তিনি মুসল্লিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। পরে তিনি বঙ্গবন্ধু কলোনিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ও আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেয়া স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন বলে জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় মিডিয়া উপকমিটির সদস্য কে এম শরীয়তউল্লাহ।
এদিকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস নগরের জামে কসাই মসজিদে, টেবিল ঘড়ি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান রুপন মুসলিম গোরস্তানসংলগ্ন জামে মসজিদে, হাতি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আসাদুজ্জামান নগরের মহাবাজ এলাকার একটি মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেন।
নামাজ আদায়ের আগে মুসল্লিদের সঙ্গে কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি নামাজ আদায় শেষে ওই এলাকায় গণসংযোগও করেন তারা।
এছাড়া কাউন্সিলর প্রার্থীরা স্ব স্ব ওয়ার্ডের মসজিদে নামাজ আদায় করে নিজেদের পক্ষে মুসল্লিদের কাছে ভোট প্রার্থনা করেন।