দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২৩, ০৬:১০ পিএম



প্রশিক্ষণ, অনুশীলন ও যোগাযোগের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারতের সেনাবাহিনীর মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে উভয়দিক থেকেই সঠিক পথে কাজ চলছে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডে।
মঙ্গলবার (৬ জুন) চট্টগ্রামে বাংলাদেশ মিলিটারী একাডেমীর ৮৪ তম দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের প্রশিক্ষন সমাপনী রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজে এসব কথা বলেন তিনি।
আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রে নতুন প্রযুক্তির সাথে পরিচিত হতেও উভয় দেশের সেনাসদস্যরা কাজ করে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এর আগে সকালে চট্টগ্রামের বাংলাদেশ মিলিটারী একাডেমির প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছান ভারতীয় সেনাপ্রধান মনোজ পান্ডে। এসময় বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির কমান্ড্যান্ট এবং চট্টগ্রাম সেনানিবাসের জিওসি তাকে স্বাগত জানান।
শুরুতেই তিনি নবীন ক্যাডেটদের অভিবাদন গ্রহণ করে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। তারপর পুরস্কারপ্রাপ্ত ক্যাডেটদের স্মারক তুলে দেন। এবার সব বিষয়ে শ্রেষ্ঠ কৃতিত্বের জন্য সোর্ড অব অনার অর্জন করেন শেখ সাব্বির আহমেদ।
এছাড়া তানভীর রহমান সেনাপ্রধান স্বর্ণপদক এবং বিদেশী ক্যাডেটদের মধ্যে তানজানিয়ার এমারটন জন কম্বো বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশীপ ট্রফি লাভ করেন।এবার ৮৪ তম দীর্ঘমেয়াদি কোর্সে দুইজন বিদেশি সহ মোট ১৪৮ জন অফিসার ক্যাডেট কমিশন লাভ করেন। এরমধ্যে ২৩ জন নারী অফিসার রয়েছেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেনারেল পান্ডে আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রে ভবিষ্যতে কি ধরনের চ্যালেঞ্জ নিয়ে এগুতে হবে, সেই বিষয়ে নবীন ক্যাডেটদের নানা পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, যুদ্ধের ধরণ খুব দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। প্রযুক্তি দ্রুত উন্নতি এবং যুদ্ধাস্ত্রের নানা পরিবর্তন যুদ্ধেক্ষেত্রকে আরও জটিল করে তুলছে। তোমরা এই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। এই পরিস্থিতিতে ভবিষ্যত যুদ্ধক্ষেত্রে সফল হতে প্রযুক্তিগত জ্ঞান, গভীর চিন্তা, মানসিক দৃঢ়তা এবং দ্রুত সাড়া দেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।
পরে ভারতীয় সেনাপ্রধান কথা বলেন গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে। এসময়ও বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ককে ঐতিহাসিক উল্লেখ করে তিন ধরনের কার্যক্রমের মাধ্যমে দুই বন্ধুপ্রতীম দেশের সামরিক সর্ম্পক চলমান আছে বলে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, আমাদের দ্বিপাক্ষিক সর্ম্পক আমাদের দুই জাতির সব ধরনের যোগাযোগকেই প্রতিফলিত করে। এটি সঠিক পথেই আছে। এবং এটি অত্যন্ত ভালো অবস্থাতেই আছে। সামরিক যোগাযোগও এই দ্বিপাক্ষিক যোগাযোগের অংশ। এই প্রেক্ষাপটে আমি সামরিক দৃষ্টিকোন থেকে বলতে চাই, আমরা তিনটি বিষয়কে সামনে রেখে এগিয়ে যাচ্ছি। এরমধ্যে রয়েছে প্রশিক্ষণ, যৌথ অনুশীলন ও সাংস্কৃতিক যোগাযোগ।
অনুষ্ঠানে সামরিক বেসামরিক ঊর্ধতন কর্মকর্তা, কূটনৈতিক, বিশিষ্ট নাগরিকবৃন্দ এবং কমিশনপ্রাপ্ত অফিসার ক্যাডেটদের পিতামাতা ও অভিভাবকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

