চট্টগ্রামে পরিবেশ দূষণকারী সালেহ স্টীল মিল সিলগালা

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৩, ০৭:৩১ পিএম

চট্টগ্রামের নাসিরাবাদ শিল্প এলাকায় পরিবশে দূষণকারী প্রতিষ্ঠান সালেহ ষ্টীল ইন্ডাষ্ট্রিজ এভাবে দূষিত ধোঁয়া ছড়িয়ে যাচ্ছিল এলাকায়। ছবি: চট্টগ্রাম অফিস

চট্টগ্রামের নাসিরাবাদ শিল্প এলাকায় পরিবশে দূষণকারী প্রতিষ্ঠান সালেহ ষ্টীল মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান। ছবি: চট্টগ্রাম অফিস
পরিবেশসম্মতভাবে কারখানা পরিচালনার অঙ্গীকার করেছিলেন চট্টগ্রামের নাসিরাবাদ শিল্প এলাকার সালেহ স্টীল ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেড কর্তৃপক্ষ। ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে জেলা প্রশাসনের একটি মোবাইল কোর্টের কাছে এ ব্যাপারে লিখিত মুচলেকাও দিয়েছিলেন এই প্রতিষ্ঠানটির মালিক কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তারা সেই মুচলেকার কোন শর্তই মানেননি। বরং মারাত্মকভাবে পরিবেশ দূষণকারী ধোঁয়া ছড়াচ্ছিল এই কারখানাটি থেকে। ফলে আশপাশের আবাসিক এলাকা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাসহ স্থানীয় অধিবাসীরা জেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেন এ প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে।
এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে সোমবার (১৫ মে) বিকেলে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের একটি ভ্রাম্যমান আদালত ওই কারখানাটিকে ৫ লাখ টাকা জরিমানাসহ সিলগালা করে দেন। পাশাপাশি পরিবেশ সম্মতভাবে উৎপাদন ব্যবস্থা নিশ্চিত না করা পর্যন্ত কারখানাটি বন্ধ রাখারও নির্দেশ দেন ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিষ্ট্রেট মো. মাসুদ রানা।
চান্দগাঁও সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদ রানার নেতৃত্বে পরিচালিত এ অভিযানের সময় পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কালো ধোঁয়া উন্মুক্ত এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। কারখানার সার্বিক অবস্থা খুবই নাজুক হিসেবে প্রতীয়মান হয়।
[caption id="attachment_430804" align="alignnone" width="1413"]
এ সময় মোবাইলে কোর্টে সহায়তাকারী পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মনির হোসেন কারখানাটিকে পরিবেশের জন্য হুমকি স্বরূপ আখ্যায়িত করেন এবং ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তারপরই এ আদেশ দেয়া হয় পরিবশে বিনষ্টকারী এ প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে।
ম্যাজিষ্ট্রেট মো. মাসুদ রানা বলেন, দীর্ঘদিন থেকে এলাকাবাসী এ কারখানার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ করে আসছে। তার নির্দেশে এর আগে একটি ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে গতবছর অক্টোবর মাসে কারখানাটিকে সতর্ক করে জরিমানা করা হয়। সে সময় কারখানা কর্তৃপক্ষ পরিবেশ সম্মতভাবে উৎপাদন কার্যক্রম চালাবে মর্মে মুচলেকা প্রদান করে। কিন্তু পূনরায় তারা কালোধোঁয়া উন্মুক্ত পরিবেশে ছড়িয়ে দেয়া অব্যাহত রাখে। স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ে। তার ফলেই এ মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়।
জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের কঠোর নির্দেশে পরিচালিত এ মোবাইল কোর্টে পরিবেশ অধিদপ্তর, বিদ্যুৎ বিভাগ ও সিএমপি সহায়তা করে। পরিবেশ ধ্বংসকারী যেকোন কার্যক্রমের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসন চট্টগ্রাম বরাবরই তৎপর এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযান আরও পরিচালিত হবে বলে জানিয়েছেন ম্যাজিষ্ট্রেট মো. মাসুদ রানা।