‘সরকারের দেয়া সুবিধা মানুষের কাজে লাগাতে চাই’

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৩, ০৪:৫১ পিএম

ছবি: ভোরের কাগজ
দেশের যে কোনো এলাকায় দুই কিলোমিটারের মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয় না থাকলে সেখানে নতুন করে প্রাথমিক স্কুল স্থাপিত হবে। সেজন্য নতুন করে আবেদন নিচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এরই আলোকে সিলেট-৪ (গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর ও কোম্পানীগঞ্জ) আসন থেকে ছয়বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেছেন, সরকারের দেয়া সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষের দোরগোড়ায় পৌছে দেবো ইনশাআল্লাহ ৷ এর জন্য আমাদের সবার সহযোগিতার হাত প্রশস্ত থাকতে হবে, আমার বিশ্বাস বরাবরের মতো আপনাদের সহযোগিতা নিয়ে যেখানে যেখানে বিদ্যালয় প্রয়োজন সেখানেই প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত করে ওই এলাকার সব শিশুকে শিক্ষার আওতায় নিয়ে আসা হবে ইনশাআল্লাহ। আমি এরই মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছি ও সেই মোতাবেক আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
অধিদপ্তর সূত্রের ভাষ্য, যেসব এলাকায় প্রাথমিক স্কুল নেই সেসব এলাকায় নতুন করে প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করবে সরকার। সেজন্য স্কুলবিহীন এলাকায় ১৫০০ প্রাথমিক স্কুল স্থাপন প্রকল্পের আওতায় নতুন করে স্কুল স্থাপনের আবেদন নিচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। আবেদনে উপজেলা থেকে আগে পাঠানো প্রস্তাবিত স্কুলগুলোর জন্যও কাগজপত্র পাঠাতে হবে।
যেসব তথ্য দিয়ে আবেদন করতে হবে- স্কুলগুলোর আবেদন যথাযথ যাচাই-বাছাইয়ের লক্ষ্যে সংযুক্ত সব যাচাইকৃত কাগজপত্রের সফট কপি পূরণ করে dirplandpe@gmail.com অথবা adplandpe@gmail.com- ঠিকানায় আগামী ১৮ মের মধ্যে পাঠাতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো অপূর্ণাঙ্গ আবেদন বিবেচনা করা হবে না।
এছাড়া, আরো ১১ ধরনের তথ্য দিয়ে এ আবেদন করতে হবে। এর মধ্যে উপজেলা পর্যায়ে গঠিত কমিটির কার্যবিবরণী, উপজেলা পর্যায়ের গঠিত কমিটির সুপারিশ, চারদিকের (উত্তর, দক্ষিণ, পশ্চিম, পূর্ব) প্রাথমিক স্কুলের দূরত্ব ও ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা, প্রস্তাবিত প্রাথমিক স্কুলের অবস্থান, দুই কিলোমিটারের মধ্যে কোনো স্কুল থাকলে সেক্ষেত্রে প্রাকৃতিক প্রতিবন্ধকতা বা অন্য কোনো বিষয় থাকলে তা উল্লেখ করতে হবে।
প্রস্তাবিত গ্রামে কোনো স্কুল আছে কিনা, নিজস্ব জমি আছে কিনা, না থাকলে বিকল্প প্রস্তাব কী হবে, জমি পাওয়ার সম্ভাবনা আছে কিনা, জমি থাকলে তা স্কুল করার মতো উপযোগী কিনা এসব তথ্য দিতে হবে।
প্রস্তাবিত গ্রামে মৌজার সংখ্যা কত ও প্রস্তাবিত বিদ্যালয়ের ক্যাচমেন্ট এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তিযোগ্য শিক্ষার্থীর সংখ্যা কত (বয়স ৫-১১ বছর)। এসব তথ্য দিয়ে উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে তা অধিদপ্তরে পাঠাতে হবে। গোয়াইনঘাট উপজেলার যেসব এলাকায় প্রাথমিক স্কুল নেই, কিন্তু স্কুল স্থাপন করা প্রয়োজন, তারা এই চিঠিতে উল্লিখিত তথ্য-প্রমাণসহ প্রস্তুতি নেয়ার জন্য গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিলুর রহমান তার দাপ্তরিক ফেসবুক পেজে অনুরোধ জানিয়েছেন।
তিনি আরো জানান, দ্রুত এ বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি মহোদয়ের উপস্থিতিতে গোয়াইনঘাট উপজেলায় সভা আয়োজন করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।সরকারের দেওয়া এই সুযোগকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে চান প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি। প্রয়োজনীয় তথ্যের জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শও দেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ১৮ এপ্রিল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক ইমামুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে সারাদেশের স্কুলবিহীন এলাকায় বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য নতুন আবেদনপত্র নেয়ার বিষয়টি জানানো হয়। এতে বলা হয়, নতুন প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত প্রকল্পের কার্যক্রম চলমান আছে। এই প্রকল্পের আওতায় বিদ্যালয়ের তালিকাভুক্তির জন্য প্রস্তাবিত স্কুল/স্কুলগুলোর আবেদন প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আগামী ১৮ মের মধ্যে অধিদপ্তরে পাঠাতে হবে।