মদনে নারীকে আটকে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৩, ০৩:৫০ পিএম

অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ছবি: মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
কাজের আশ্বাস দিয়ে নেত্রকোনার মদনে এক স্বামী পরিত্যাক্তা নারীকে (২০) আটকে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। টাকার বিনিময়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জোর চেষ্টা চালিয়েছে একটি মহল।
বিচারের আশায় স্থানীয় মাতাব্বরদের কাছে ঘুরছে হতদরিদ্র ভুক্তভোগী নারী। উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের ফতেপুর দেওয়ান পাড়ায় এমন ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২১ মার্চ) ভুক্তভোগী নারীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, মদন উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের দড়িবিন্নী গ্রামের দেওয়ান আলীর ছেলে মাইক্রোবাস চালক সবল তার পূর্ব পরিচিত। গৃহকর্মীর কাজ দিবে বলে ওই নারীকে গত রবিবার (১২ মার্চ) সকালে ফতেপুর রুদ্রশ্রী এলাকা থেকে কালো রঙের একটি মাইক্রোবাসে তুলে নেয় চালক সবল ও গাড়ির মালিক তামজিদ। পরে ঢাকার একটি বাসায় আটকে রেখে দুইজনে মিলে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরে গত (১৭ মার্চ) শুক্রবার রাতে মদন উপজেলার রুদ্রশ্রী এলাকায় সড়কের পাশে ফেলে রেখে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।
এ ঘটনাটি এলাকায় প্রকাশ পাওয়ার পর স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল টাকার বিনিময়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে জোড় চেষ্টা চালাচ্ছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিচারের দাবি জানান ভুক্তভোগী নারী।
ভুক্তভোগী নারীর বাবা জানান,‘আমরা গরীব মানুষ। বাজারে বাজারে পিঠা বিক্রি করে সংসার চালাই। আমার মেয়েকে বাসা-বাড়ির কাজ দিবে বলে প্রলোভন দিয়ে গাড়ির মালিক তমজিদ ও চালক সবল ঢাকায় নিয়ে যায়। পরে শুক্রবার রাতে গাড়ির মালিক ফোন করে আমাকে জানান, আপনার মেয়ে রুদ্রশ্রী সড়কের পাশে আছে। মেয়েকে বাড়ি নিয়ে আসার পর জানতে পারলাম ৫ দিন আটকে রেখে আমার মেয়েকে তারা ধর্ষণ করেছে। ঘটনার পর থেকে টাকার বিনিময়ে বিষয়টি ধামাচাপার দেওয়ার জন্য আমাকে চাপ দেওয়া হচ্ছে। আমি এর ন্যয় বিচার চাই।’
অভিযুক্ত গাড়ি চালক সবল মিয়া বলেন,‘মেয়েটির সাথে আমার দীর্ঘদিনের সর্ম্পক। সে আমার সাথে স্বেচ্ছায় ঢাকা গিয়েছে। একটি ঘটনা যেহেতু ঘটেছে তাকে আমি বিয়ে করতে রাজি আছি।’
গাড়ির মালিক তামজিদ জানান, ‘আমি গাড়ি ভাড়া দিয়েছি। চালক কি করেছে তা আমার জানা নেই। চালকের ফোন বন্ধ থাকায় আমার গাড়ির ট্র্যাকারের মাধ্যমে তাদের অবস্থান নিশ্চিত করে মেয়েটিকে উদ্ধার করি।’
ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান সামিউল হায়দার তালুকদার শফি জানান,‘মঙ্গলবার সকালে ভুক্তভোগী মেয়েটিকে নিয়ে তার মা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এসেছিল। আমি তাদের আইনি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছি।’
মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ তাওহীদুর রহমান জানান,‘বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’