সালথায় ছাত্রলীগ সভাপতির হামলায় আহত ৩

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ মার্চ ২০২৩, ১০:২৫ পিএম

অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা। ছবি: ভোরের কাগজ
ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রায়মোহন রায়ের হামলায় এক কলেজ শিক্ষার্থীর পরিবারের তিনজন আহত হবার খবর পাওয়া গেছে। গুরুতর আহত শিক্ষার্থীর চাচাকে (৫৫) ফরিদপুরের মেডিকেল কলেজ (ফমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং শিক্ষার্থীর বাবা (৫০) ও শিক্ষার্থীর চাচাতো ভাইকে (১৯) স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়।
শুক্রবার (১০ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়।
বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতা ও আতংকে সময় পার করছে ভুক্তভোগী ওই কলেজ শিক্ষার্থী ও তার পরিবার। উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রায়মোহন রায় উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌড়দিয়া এলাকার মৃত রঞ্জিত রায়ের পুত্র। নিরাপত্তা ও বিচারের দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবারটি। এ বিষয়ে শুক্রবার রাতে সালথা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীর মা।
জানা গেছে, বিগত কয়েক বছর ধরে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রায়মোহন রায় ওই কলেজ শিক্ষার্থীকে ইভটিজিং করে আসছিলো। স্কুলে পড়াকালীন সময়ে বিরক্তের একপর্যায়ে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি সালিস-মীমাংসা হয়। পরবর্তীতে সে ফরিদপুরের একটি কলেজে ভর্তি হওয়ার পরও রায়মোহন রায় তাকে ফোন দিয়ে বিরক্ত করতো। তাকে একাধিকবার নিষেধ করলেও থেমে থাকেনি ওই ছাত্রলীগ নেতা।
বিষয়টি ওই কলেজ শিক্ষার্থী পরিবারকে জানালে রায়মোহন রায়ের পরিবাবের সঙ্গে সমাধানের লক্ষ্যে বিভিন্ন সময়ে আলোচনা করে। ঘটনার দিন বেলা ১১টার দিকে সমাধানের লক্ষ্যে আলাপচারিতায় বসলে, রায়মোহনসহ কয়েক যুবক লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ওই শিক্ষার্থীর পরিবারকে হামলা চালিয়ে মারধর করে আহত করে। একপর্যায়ে ছাত্রলীগ নেতা হুমকি দিয়ে চলে যায়।
উপজেলা ছাত্রলীগের একজন যুগ্ম-সম্পাদক বলেন, কোনো অন্যায়কারীর দায়ভার সংগঠন নেবে না। ছাত্রলীগ সবসময় সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে। যেকোনো ভালো কাজ ও ছাত্রবান্ধব কর্মসূচির সাথে থাকবে ছাত্রলীগ। কোনো অন্যায় ও সংগঠন পরিপন্থি কাজের সঙ্গে থাকবে না ছাত্রলীগ।
এ বিষয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রায় রায়মোহন রায়ের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন ভোরের কাগজের এই প্রতিনিধি।