১০১ তম সলঙ্গা বিদ্রোহ দিবস পালিত

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৭ জানুয়ারি ২০২৩, ০২:৫১ পিএম

ছবি: ভোরের কাগজ
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে মধ্য দিয়ে ১০১ তম সলঙ্গা বিদ্রোহ দিবস পালিত হয়েছে। সলঙ্গা সমাজ কল্যাণ সমিতি ও মওলানা তর্কবাগীশ পাঠাগারের উদ্যোগে সকাল সাড়ে ১০ টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন, র্যালি আলোচনা সভা, শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া মাহফিল করা হয়েছে। র্যালিটি সলঙ্গা সমাজ কল্যাণ সমিতি ও মওলানা তর্কবাগীশ পাঠাগার থেকে শুরু করে থানার সদরের বিভিন্ন সড়ক প্রদিক্ষন শেষ পাঠাগারে এসে শেষ করে।
র্যালী শেষে এক আলোচনা সভায় সমাজ কল্যাণ সমিতি ও মওলানা তর্কবাগীশ পাঠাগারের সহ-সভাপতি গজেন্দ্রনাথ মন্ডলের সভাপতিত্বে ও সাধাণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান নান্নু পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন- সলঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব রায়হান গফুর, সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান লাভু, থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মারুফ হাসান খোকন।
এছাড়া অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদুল ইমলাম ফরিদ, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, কোষাধক্ষ্য আব্দুল মান্নান খান, ক্রীড়া সম্পাদক ফারুক হায়দার, সদস্য আহসান হাবিব, আমিনুল ইসলাম হেলাল, সলঙ্গা অনলাইন প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পদক সোহেল রানা প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, ১৯২২ সালের ২৭ জানুয়ারি মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগীশের নেতৃত্বে অসহযোগ ও খেলাফত আন্দোলনের কর্মীরা বিলেতি পণ্য কেনা-বেচা বন্ধ করতে সলঙ্গা হাটে প্রচারণা চালায়। স্বদেশী আন্দোলন বন্ধ করতে পাবনা জলা ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃতে ৪০ জন সশস্ত্র লাল পাগড়ীওয়ালা পুলিশ ছুটে আসে এবং মওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগীশকে গ্রেপ্তার করে। এতে বিদ্রোহী হয়ে ওঠে সলঙ্গার সংগ্রামী জনতা। জনতার ঢল ও আক্রোশ দেখে ম্যাজিষ্ট্রেট জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার জন্য গুলি চালাতে নির্দেশ দেয়। শুরু হয় নির্বিচারে গুলি। গুলিতে প্রায় সাড়ে চার হাজার সাধারণ মানুষ প্রাণ হারায়। তবে বেসরকারী মতে ১০ হাজারেরও বেশি সাধারণ মানুষ মারা যায় বলে জানা যায়। এরপর থেকে দিনটিকে সলঙ্গা বিদ্রোহ দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে।