শান্তিগঞ্জে মৎস্য নিধনের পাঁয়তারা

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২২, ০৪:৫৭ পিএম

ছবি: ভোরের কাগজ
শান্তিগঞ্জের শিমুলবাঁক ইউনিয়নের মূক্তাখাই গ্রামের পশ্চিমের শুকনারার দাইড় জলমহাল শুকিয়ে মৎস্য নিধনের পায়তারা করা হচ্ছে।
১৪২৯ বাংলা সনের জন্য উপজেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় শুকনারোয়া বিল ও শুকনারোয়া জলমহাল সহ চাঁনপুরের গাং, মুক্তাখাই গাং, জোরসিঙ্গা, পুরজাপই, আনাইজিনাই, আকটিগুলিপুটি ও তেরহাল নদী গ্রুপ জলমহাল ইজারা নেন নোয়াখালী বাজারের ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি যুবলীগ নেতা রুকনুজ্জামান রুকন।
ইজারা নেওয়ার পর মুক্তাখাই গ্রামের জমির হোসেন, কামাল হোসেন সহ একাধিক ব্যক্তির কাছে সরকারি নীতিমালা লঙ্গন করে উচ্চমূল্যে সাব-লিজ দেন রুকন আহমদ।
জমির হোসেন নামের এক ব্যাক্তি এ জলমহাল সাব-লিজ পাওয়ার শুকনারোয়া দাইড় সেচ করে শুকিয়ে মৎস্য নিধনের পাঁয়তারায় ২ টি পানির পাম্প বসিয়ে পানি উত্তোলন করা শুরু করেন। স্থানীয়দের কাছে শুকনারোয়া দাইড় ছোট নদী হিসেবে খ্যাত।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মুক্তাখাই নতুন গ্রামের একাধিক মহিলা জানান, এই ছোট নদীটি আমাদের পানির একমাত্র উৎস। সাব-লিজকারীরা নদীটি শুকানোর কারণে আমাদের পরিবারের লোকনের গোসল করা থেকে শুরু করে পানির চাহিদা পূরণে বিরাট সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
তারা আরও জানান, আমরা গরীব মানুষ আমাদের বাড়িতে নলকূপ নেই। এই ছোট নদীটির পানি আমরা গোসল করা থেকে শুরু করে রান্নাবান্নার কাজে ব্যবহার করি। এই নদীটি সম্পূর্ণ শুকিযে গেলে আমরা চরম সংকটে পড়ব। এছাড়া এক দুইটা হাঁস ও এই নদীতে গেলে ইজারাদাররা আমাদেরকে গালিগালাজ করে।
এ ব্যাপরে শুকনারোয়া জলহাল ও শুকনারোয়া দাইড়ের সাব-লিজ গ্রহণকারী মুক্তাখাই গ্রামের জমির হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমরা নোয়াখালী গ্রামের রুকন মিয়ার কাছ থেকে উক্ত জলমহালটি ৭ লাখ টাকায় সাব-লিজ এনেছি, তবে জলমহালে আমরা মিশিন লাগাইনি জমির মালিকগণ লাগিয়েছে। অন্য জলমহালগুলো সেচের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন সেগুলো শুকনোর বিষয় এখন বলতে পারব না।
এ ব্যাপারে ইজারাদার রোকনুজ্জামান রুকন বলেন, আমি জলমহাল ইজারা দেইনি কয়েকজনকে ভাগিদার করেছি। তবে পানির পাম্প বন্দ রাখার জন্য বলে দিয়েছি।
এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার উজ জামান বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইন অনুসারে নেওয়া হবে। কোন অবস্থাতেই বিল শুকিয়ে মৎস্য নিধন করতে দেওয়া হবে না।