আজ গাইবান্ধা যাচ্ছে ইসির তদন্ত কমিটি

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০২২, ০৯:১৪ এএম

ফাইল ছবি
গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে অনিয়ম তদন্তে ওই সংসদীয় এলাকায় যাচ্ছে নির্বাচন কমিশনের গঠিত তদন্ত কমিটি। আজ মঙ্গলবার থেকে আগামী বৃহস্পতিবার নির্বাচনি এলাকায় গিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলবেন কমিটির সদস্যরা। তারা নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৬৮৫ জনের বক্তব্য নেবেন বলে জানিয়েছেন তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।
তিনি জানান, এরমধ্যে এ সংক্রান্ত নোটিসও জারি করা হয়েছে। কার্যপরিধি মেনে কমিটি বন্ধ ঘোষিত কেন্দ্রগুলোর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, গণমাধ্যমকর্মী, রিটার্নিং অফিসার ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলব।
৬৮৫ জনের শুনানি নিয়ে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার আশা প্রকাশ করেছেন এ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, আমরা গাইবান্ধা যাচ্ছি। নির্ধারিত সময়ে নির্ধারিত স্থানে সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য নেয়া হবে। আশা করি, ৭ কার্যদিবসের মধ্য সুপারিশ চূড়ান্ত করা যাবে।
গত ১২ অক্টোবর এ উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরুর পর সিসিটিভিতে ব্যাপক অনিয়মের চিত্র দেখে মাঝপথে ভোট বন্ধ করে দেয় নির্বাচন কমিশন। পরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল অনিয়মে সম্পৃক্তদের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি করার ঘোষণা দেন। অশোক কুমার দেবনাথকে আহ্বায়ক করে পরদিন কমিটি গঠন করা হয়। ইসির যুগ্ম সচিব (প্রশাসন ও অর্থ) মো. কামাল উদ্দিন বিশ্বাসকে কমিটির সদস্য এবং ইসির যুগ্ম সচিব (চলতি দায়িত্ব) মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরীকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার গাইবান্ধা সার্কিট হাউজে ১১ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ৬৬ জন সহাকারী প্রিজাইডিং অফিসার, ৫৫ জন পোলিং এজেন্ট (প্রত্যেক প্রার্থীর পক্ষ থেকে), ফুলছড়ি প্রেস ক্লাবের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, গাইবান্ধা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও থানার ওসিসহ ১৩৬ জনের বক্তব্য নেবে তদন্ত কমিটি।
আগামীকাল বুধবার সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সভাকক্ষে ৪০ জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, ২৭৮ জন সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, ২০০ জন পোলিং এজেন্ট (প্রত্যেক প্রার্থীর পক্ষে), সাঘাটা প্রেস ক্লাবের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও থানার ওসিসহ ৫২২ জনকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
শেষদিন বৃহস্পতিবার গাইবান্ধা সার্কিট হাউজে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, ১৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, বিজিবি ও র্যাবের কমান্ডিং অফিসার দুজন, রিটার্নিং অফিসার, পুলিশ সুপার এবং জেলা প্রশাসকসহ ২৭ জনের লিখিত বক্তব্য নেবে তদন্ত কমিটি। নির্ধারিত দিনে যথাসময় ও স্থানে সংশ্লিষ্টদের উপস্থিত থাকার নির্দেশনা দিয়ে এ সংক্রান্ত নোটিস গাইবান্ধা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে আগেই পাঠানো হয়েছে।