ভাঙন আতঙ্ক, নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন পদ্মা পাড়ের মানুষ

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৮:১৭ পিএম

শরীয়তপুরের জাজিরায় পদ্মা পাড়ে আবারো শুরু হয়েছে ভাঙন।
শরীয়তপুরের জাজিরায় পদ্মা পাড়ে আবারো শুরু হয়েছে ভাঙন। নদীভাঙন আতঙ্কে জাজিরাবাসী নির্ঘুম রাত পার করছেন। অনেকেই বাপ-দাদার ভিটে সরিয়ে ফেলেছেন। চলে গেছেন অন্য জায়গাতে। যদিও জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড, এমনটিই জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
জাজিরায় পদ্মা সেতু জিরো পয়েন্ট থেকে বড়কান্দি পর্যন্ত থেমে থেমে নদী ভাঙছে হচ্ছে। গত কয়েক দিনে নদীগর্ভে চলে গেছে দুই থেকে তিন কিলোমিটার জায়গা।
এতে কমপক্ষে ৪০টির বেশি ঘর অন্য জায়গা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। অনেকে খোলা জায়গায় বসবাস করছে।
পালেরচরের একজন বাসিন্দা বলেন, জমিতে ধান ছিল। পেকেও গিয়েছিল। হঠাৎ করে রাতে নদীর ভাঙনে সেই ক্ষেত ডুবে গেছে। ঘর সরাতেও সময় লাগছে। তাই ক্ষেতের দিকে নজর দিতে পারেনি। এখন আমার ফসলও নদীতে ধানক্ষেত নদীতে।
মরিয়ম আক্তার নামে আরেকজন বলেন, আমি বুড়ো মানুষ। আমার ঘরের লোকও বুড়ো। কে করে দেবে আমাদের কাজ। এই ছোট একটি ঘরে আমরা দুজন থাকি। হয়তো আজ রাতে থাকতে পারব না। ঘর ভেঙে নিয়ে যাবে নদীতে। কীভাবে থাকব, কীভাবে চলব, কে আমাদের খাওয়াবে- বলতে পারছি না।
আনোয়ার মিয়া নামে একজন বলেন, গতকাল রাতে ঘুমিয়েছিলাম। হঠাৎ নদীভাঙনের শব্দে ঘুম থেকে ওঠে ঘর থেকে বেরিয়ে যাই। এই রাতে ৩ নল নদী ভেঙেছে। আর তিন থেকে চার হাত পর আমার ঘর। ঘরের সব কিছুই খুলে ফেলেছি, শুধুমাত্র খামগুলো রয়ে গেছে। এখানে একটি স্থায়ী বেড়িবাঁধ চাই, এছাড়া কিছুই চাই না।
শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম আহসান হাবীব বলেন, পদ্মা নদীর ভাঙন রোধে আমরা জিও ব্যাগ ফেলছি। এছাড়া এ বছর জাজিরার পালেরচর ও বড়কান্দি এলাকায় নদীভাঙন রোধে কাজ চলছে। এরই মধ্যে আমরা একটি প্রকল্প করে এটি অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছি। এটি পাস হলেই ব্লক ও জিওব্যাগ ফেলে স্থায়ী একটি বেড়িবাঁধের কাজ শুরু করব।