গুঁড়িয়ে দেয়া হলো সাবেক সাংসদ গোলাম মাওলা রনির বাসভবন

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯ জুলাই ২০২২, ০৬:০০ পিএম

মঙ্গলবার সরকারি সম্পত্তিতে সাবেক সাংসদ গোলাম মাওলা রনি ও তার শ্যালক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন খানের নির্মিত অবৈধ বাস ভবন ভেঙে ফেলা হয়েছে। ছবি: ভোরের কাগজ

পটুয়াখালীর গলাচিপায় উচ্ছেদ অভিযানে উলানিয়া বাজারের সরকারি সম্পত্তিতে অবৈধভাবে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করায় সাবেক সাংসদ গোলাম মাওলা রনি ও তার শ্যালক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন খানের বাস ভবন ভেঙে ফেলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) বেলা ১১টায় উপজেলার উলানিয়া বন্দরে এ অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল কাইয়ুম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশিষ কুমার ও গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম আর শওকত আনোয়ার ইসলাম।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল কাইয়ুম বলেন, বিশেষ কোন ব্যক্তির স্থাপনা নয়, উলানিয়া বাজারের ১৫ থেকে ২০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এ অভিযানে যার যতটুকু অবৈধ স্থাপনা আছে, তার ততটুকুই উচ্ছেদ করা হবে। এ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
[caption id="attachment_359102" align="aligncenter" width="300"]
গোলাম মাওলা রনি[/caption]
এ ব্যাপারে সাবেক এমপি গোলাম মাওলা রনি বলেন, ১৯৬০ সাল থেকে আমার বাবা উলানিয়া বন্দরে ১২ শতক জায়গায় ভোগ দখল ও বসবাস করে আসছেন। ২০০১ সালে আমি সেই জায়গায় দ্বিতল বিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণ করে বসবাস করছি। আমি জাতীয় সংসদ সদস্য থাকাকালীন ২০০৭ সালে বসত ঘরের জন্য আধা শতাংশ করে আমার বাবা, মা, আমি ও আমার স্ত্রীর নামে ২ শতক জায়গা চান্দিনা ভিটার ডিসিআর নিতে তৎকালীন ইউএনও আমাকে অনুরোধ করেন।
আমার পৈত্রিক ভিটায় বসবাস করার কারণে আমি কোন ডিসিআরের আবেদন করিনি। চলতি বছরে ভবনটি সরকার অবৈধ স্থাপনা হিসেবে ঘোষণা করে আমাকে নোটিসের মাধ্যমে অবগত করে। এ নিয়ে আমি হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন দাখিল করি। রিট আবেদনটি হাইকোর্টের ১৭ নম্বর বেঞ্চের বিচারপতি জাফর আহম্মেদর বিচারাধীন শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। আমার বোধগম্য নয়, রিট আবেদনের শুনানির আগে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কীভাবে ভবনটি ভাঙতে পারেন?
