সিআইডি
আগামী সপ্তাহে জানা যাবে বেইলি রোডে আগুনের কারণ

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭ মার্চ ২০২৪, ০৬:৫৩ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
সম্প্রতি রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ নামে একটি বহুতল ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় নানা ফরেনসিক আলামত সংগ্রহ করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ইতোমধ্যে মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়েছে। ফলে সংস্থাটি শিগগির তদন্ত শুরু করবে। তবে কি কারণে ভবনটিতে আগুনের ঘটনা ঘটেছিলো তা দুই-একদিনের মধ্যে জানাতে পারবে সিআইডি।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান সিআইডি প্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া।
সিআইডি প্রধান বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা যেটা জানতে পেরেছি, গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাতের সম্ভাবনাই বেশি। কেমিক্যাল আলামতও টেস্ট করা হচ্ছে। এটার কারণ হচ্ছে সেখানে বিস্ফোরক জাতীয় কিছু ছিল কি-না। আলামত পরীক্ষার প্রতিবেদনের অপেক্ষায় আছি। রিপোর্ট পেলেই নিশ্চিত হবে আগুনের কারণ।
তিনি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ১৫টির বেশি আলামত সংগ্রহ করেছে সিআইডির ফরেনসিক টিম। সেগুলো পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। আগামী সপ্তাহেই স্পষ্ট হবে আগুনের নেপথ্যে কী ছিলো কারণ।
মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, ‘সেখানে সিআইডি’র ফরেনসিক টিম, ডিএনএ টিম ও কেমিক্যাল টিম কাজ করেছে। ইতোমধ্যেই বেশ আলামত সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। দুয়েক দিনের মধ্যেই রিপোর্ট পাওয়া যাবে আগুনের কারণ কী,’।
উল্লেখ্য, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর বেইলি রোডের ছয়তলা ভবনটির নিচতলায় আগুনের সূত্রপাত হয়। এরপর সেই আগুন মুহূর্তেই দাউদাউ করে ছড়িয়ে পড়ে পুরো ভবনে। অন্যদিকে দ্বিতীয় থেকে ষষ্ঠ তলায় থাকা রেস্টুরেন্টগুলোতে খেতে আসা মানুষেরা আটকা পড়ে যান। অনেকে বাঁচার জন্য লাফ দেন কিন্তু অধিকাংশ মানুষই আটকা পড়েন ভবনে।
পরে ফায়ার সার্ভিস খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ১৫ জনকে বিশেষ কায়দায় উদ্ধার করে। আগুন নেভানোর পর বিভিন্ন তলা থেকে ৪৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এখনো অনেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ঘটনায় শনিবার (২ মার্চ) পুলিশের পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হয়েছে বলে জানানো হয়। এখন পর্যন্ত ৪৪টি মরদেহের পরিচয় মেলায় সেগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে ঢামেক। এখনো দুটি মরদেহ পড়ে আছে মর্গে। এই মামলায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।