বন্যার্তদের সহায়তায় একদিনের বেতন দেবেন জবি শিক্ষকরা

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২৪, ১২:২৭ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
বন্যার্তদের সহায়তা করতে একদিনের বেতনের সমপরিমাণ অর্থ দেবেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। শুক্রবার (২৩ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির এক জরুরি সাধারণ সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। শিক্ষক সমিতি সূত্রে জানা যায়, এই অর্থের ৫০ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে জমা দেয়া হবে। বাকি ৫০ শতাংশ অর্থ দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে চলমান বন্যা পরবর্তী দুর্গত এলাকার মানুষের সহায়তায় ব্যয় করা হবে। বন্যা কবলিত এলাকার শিক্ষকদের সমন্বয়ে এ বিষয়ে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. শেখ মাশরিক হাসান বলেন, সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা আমাদের বেতনের একদিনের সমপরিমাণ অর্থ বন্যার্তদের সহায়তা হিসেবে দেব। এর মধ্যে ৫০ শতাংশ অর্থ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে দেয়া হবে।
এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও খুলনা বিশ্বিবদ্যালয় শিক্ষক সমিতি তাদের বেতনের একদিনের সমপরিমাণ অর্থ বন্যা কবলিত এলাকার জনগণের সহায়তায় দেয়ার ঘোষণা দেন।
আরো পড়ুন : বন্যার্তদের একদিনের বেতন দিলেন ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষকরা
বৃহস্পতিবার থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বন্যা কবলিত এলাকার জন্য ত্রাণ সামগ্রী ও অর্থ সংগ্রহ করছেন। ইতোমধ্যে জবি শিক্ষার্থীরা কয়েকটি টিম ফেনী ও কুমিল্লাতে পৌঁছে ত্রাণ সহায়তা ও উদ্ধার কাজ পরিচালনা করছে। বন্যা পরবর্তী সময়ে ব্যাপক আকারে ত্রাণ সহায়তা ও পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালনার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
উল্লেখ্য, বন্যার সবচেয়ে ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছে ফেনীতে। বন্যাকবলিত জেলাগুলোতে এখন পর্যন্ত ১৫ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
বন্যা আক্রান্ত জেলাসমূহের জেলা প্রশাসককে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, মেডিকেল টিম ও অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে সমন্বয় করে এক সঙ্গে কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে সার্বক্ষণিক কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। তথ্য ও সহযোগিতার জন্য ০২৫৫১০১১১৫ নম্বর চালু রয়েছে। ফেনী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, হবিগঞ্জ ও লক্ষ্মীপুর জেলার বন্যা উপদ্রুত এলাকায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ড ও বিজিবি জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে উদ্ধার কাজে নিয়োজিত রয়েছে।