তারেক রহমানের সব মামলা দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি সেলিমা রহমানের

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:০৭ পিএম

শেরে-ই বাংলা এ কে ফজলুল হকের ১৫১ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান। ছবি: ভোরের কাগজ
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সব মামলা দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে দীর্ঘ বছর মিথ্যা মামলা দিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়। তাকে এখনো বিদেশে অবস্থান করতে হচ্ছে। তার মামলা এখনো প্রত্যাহার করা হয়নি। দ্রুত তার সব মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
রবিবার (২৭ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে শেরে-ই বাংলা এ কে ফজলুল হকের ১৫১ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও গুনীজন সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ দাবি জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন, উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সচিব এ এস এম আবদুল হালিম, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডা. শাশীম আহমেদ, ফজলুল হক ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা মনোয়ার হোসেন তৌফিক। এতে সভাপতিত্ব করেন ফাউন্ডেশনের প্রধান উপদেষ্ট ও সাবেক তথ্যসচিব সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ। সভায় ১৩ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে ‘শের-ই-বাংলা স্মৃতি পদক -২০২৪’ পদক দেয়া হয়।
আরো পড়ুন: আওয়ামী লীগের আমলে ৮০০বার হাজিরা দিয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
অনুষ্ঠানে সেলিমা রহমান বলেন, শেরে-ই-বাংলা প্রথম বাংলাদেশের স্বাধীনতার মোমবাতি জ্বালিয়েছেন। পাকিস্তান থেকে আজ পর্যন্ত দেশ এগিয়ে যাওয়ার পেছনে তিনজন মহান নেতারই কৃতিত্ব- হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শেরে-ই-বাংলা এবং মাওলানা ভাসানী। তারা জন্মগ্রহণ করেছিলো বলেই ব্রিটিশ থেকে পাকিস্তান পরে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। কিন্তু তাদের কথা নতুন প্রজন্ম জানে না। তাদের আমরা স্মরণ করি না। যদি শেরে বাংলার আদর্শ অনুসরণ করতাম তাহলে আজ বাংলাদেশে ৩৬ জুলাই তৈরি হতো না। এতো মানুষের বুকের রক্ত ঝরতো না। এতো শোষিত মানুষের কান্না শোনা যেতো না।
শহীদ জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে যুদ্ধে আরো অনেক লোক মারা যেতো বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, তিনি শুধু ঘোষণা দিয়েই দমে যাননি, যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছেন। যুদ্ধ শেষ করে তিনি আবার ব্যারাকে ফিরে যান। ব্যারাক থেকে দেশের জনগণ তাকে আবার রাজনীতিতে নিয়ে আসেন। কারন স্বাধীনতার সুফল বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়ার জন্য। তিনি মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে দেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে ঝুড়ি ভর্তি ফসল উৎপাদন করে বিশ্বের বুকে দেশকে মর্যাদায় আসীন করেন।
তিনি বলেন, দেশ এখন ক্রান্তিকালীন সময়ের মধ্যে আছে। আমরা স্বস্তিতে নাই। এখনো স্বৈরাচারের দোসররা আমাদের মধ্যে বাস করছে। বিভিন্ন জায়গায় তারা অস্থিরতা সৃষ্টি করছে। তারা বিভিন্নভাবে চক্রান্ত সৃষ্টি করছে। একটা কঠিন সময় পার করছি। যেভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ জাতি ফ্যাসিস্ট সরকারকে হঠিয়েছে, ছাত্র সমাজ বুকের রক্ত দিয়ে দেশকে দুঃশাসনমুক্ত করেছে, একইভাবে আবার ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। শহীদ জিয়ার স্বপ্নের সাম্য, অধিকার ও মর্যাদার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
আসাদুজ্জামান বলেন, লাহোর প্রস্তাব পেশ না করলে পাকিস্তান তৈরি হতো না, পাকিস্তান না হলে বাংলাদেশ হতো না। তিনি স্বাধীন দেশের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। শের-ই-বাংলা জনগণের ক্ষমতায়নের কথা ভাবতেন। জনগন অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী না হলে ক্ষমতায়ন সম্ভব নয়। তাই তিনি চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত বাতিল করে দেন।