১০ ব্যাংক দুর্বল ব্যাংকগুলোকে ধার দিতে রাজি, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্যারান্টি

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:২৪ এএম

ছবি: সংগৃহীত
অর্থনৈতিক দুর্বলতায় ভুগতে থাকা ব্যাংকগুলোকে সহায়তা করতে এগিয়ে এসেছে অতিরিক্ত তারল্য থাকা ১০টি সবল ব্যাংক। এই ব্যাংকগুলো দুর্বল ব্যাংকগুলোকে ধার দিতে সম্মত হয়েছে, যেখানে বাংলাদেশ ব্যাংক গ্যারান্টি দেবে। গতকাল (২৫ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
দুর্বল ব্যাংকগুলোর জন্য অর্থ সরবরাহে এগিয়ে আসা ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে সোনালী ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, দ্য সিটি ব্যাংক, শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক এবং ব্যাংক এশিয়া।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা সাংবাদিকদের জানান, কোনো ব্যাংক ঋণ প্রদানে ব্যর্থ হলে বাংলাদেশ ব্যাংক ৩ দিনের মধ্যে সবল ব্যাংকগুলোকে টাকা ফেরত দেবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ ঋণ প্রক্রিয়ায় সরাসরি অর্থ প্রদান না করে অন্য ব্যাংক থেকে ধারের ব্যবস্থা করবে। এতে করে বাজারে অতিরিক্ত তারল্য তৈরি হবে না এবং মূল্যস্ফীতির ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না।
এদিকে, ইতোমধ্যেই ৫টি ব্যাংক তারল্য সহায়তা পেতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এগুলো হলো—ন্যাশনাল ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক এবং গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক। আরো দুটি ব্যাংক চুক্তিবদ্ধ হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।
আরো পড়ুন: লঘুচাপ, বৃষ্টি ও তাপমাত্রা নিয়ে যে পূর্বাভাস দিলো আবহাওয়া অধিদপ্তর
সংকটে পড়া ৭টি ব্যাংক ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য প্রায় ২৯ হাজার কোটি টাকার তারল্য সহায়তা চেয়েছে। এর মধ্যে ইসলামী ব্যাংক ৫ হাজার কোটি, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ৭ হাজার ৯০০ কোটি, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ২ হাজার কোটি, ইউনিয়ন ব্যাংক ১ হাজার ৫০০ কোটি, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক সাড়ে ৩ হাজার কোটি, ন্যাশনাল ব্যাংক ৫ হাজার কোটি এবং এক্সিম ব্যাংক ৪ হাজার কোটি টাকা সহায়তা চেয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় এস আলম গ্রুপ ৮টি ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নেয়, যার মধ্যে ছিল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক এবং ইউনিয়ন ব্যাংক। এছাড়া ন্যাশনাল ব্যাংক ও বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকেরও নিয়ন্ত্রণ নেয় তারা। তবে এসব ব্যাংকের ৬টির তারল্য সংকট এতটাই তীব্র হয়ে উঠেছে যে অনেক শাখায় লেনদেনের জন্য পর্যাপ্ত নগদ টাকা নেই।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর এসব ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়ে পুনর্গঠন করা হয়।