শেখ হাসিনার কোন পাসপোর্টে ভিসার মেয়াদ বাড়াল ভারত

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:৪৮ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
ভারতের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, ভারতে নির্বাসিত বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ সম্প্রতি বাড়ানো হয়েছে। তবে এই প্রক্রিয়া নিয়ে ইতোমধ্যেই নানা প্রশ্ন উঠেছে, বিশেষ করে তার পাসপোর্টের বৈধতা নিয়ে।
বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সংসদ বিলুপ্তির পর শেখ হাসিনার কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আরো ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল করেছে। ফলে শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ কোন পাসপোর্টের ভিত্তিতে বাড়ানো হয়েছে, তা এখনো পরিষ্কার নয়।
এক শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বাতিল পাসপোর্টে ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি আইনত সম্ভব নয়। তবে কেউ একাধিক পাসপোর্ট ব্যবহার করলে সেটি ভিন্ন প্রসঙ্গ হতে পারে। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী, একই সঙ্গে লাল পাসপোর্ট ও সাধারণ পাসপোর্ট ব্যবহার বেআইনি।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গুম, গণহত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধে বিচারের দাবিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। গত ২৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সরকার ভারতের কাছে তাকে ফেরত পাঠানোর জন্য একটি চিঠি দিয়েছে।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ কত দিনের জন্য বাড়ানো হয়েছে বা কবে এটি করা হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। তবে জানা গেছে, ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিস (এফআরআরও) এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিল।
ভারতে অবস্থানের আইনগত বৈধতা নিয়ে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যে কোনো বিদেশি নাগরিকের রেসিডেন্ট পারমিট নবায়ন করতে হলে পাসপোর্ট, ভিসা, ছবি, ও ভারতে অবস্থানের সঠিক ঠিকানাসহ প্রয়োজনীয় নথি জমা দিতে হয়। ধারণা করা হচ্ছে, শেখ হাসিনা রেসিডেন্ট পারমিট নবায়নের মাধ্যমে ভারতে বসবাস করছেন।
ভারতে নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিনও একইভাবে দীর্ঘদিন রেসিডেন্ট পারমিটের মাধ্যমে দেশটিতে বসবাস করছেন। ধারণা করা হচ্ছে, শেখ হাসিনাও একই পদ্ধতির আওতায় রয়েছেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধির বিষয়ে ভারত থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর জন্য বাংলাদেশ সরকার চিঠি দিয়েছে, তবে এর কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।
ভারতীয় কর্মকর্তারা মনে করছেন, প্রত্যর্পণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি বলেই দিল্লি এ বিষয়ে জবাব দেবে না।