দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টকে গ্রেপ্তারে আইনি অধিকার পেলো পুলিশ

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:১০ এএম

দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল। ছবি : সংগৃহীত
দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল দেশটি দুর্নীতি বিরোধী প্রতিষ্ঠার করাপশন ইনভেস্টিগেশন অফিস ফর হাই-র্যাঙ্কিং অফিসিয়াল (সিআইও)।
উচ্চ-পদস্থ কর্মকর্তাদের দুর্নীতি তদন্তের দায়িত্ব এই প্রতিষ্ঠানের। ইওলকে গ্রেপ্তারে ব্যর্থ হয়ে এখন তার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা এখন হস্তান্তর করা হচ্ছে দেশটির পুলিশকে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সিআইও কর্তৃপক্ষ। খবর তাসের।
রবিবার (৫ জানুয়ারি) রাতেই ইওলের বিরুদ্ধে সন্দেহভাজন ব্যক্তি হিসেবে পুনরায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে সংস্থাটি।
গত ৩০ ডিসেম্বর ইওলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। ৬ জানুয়ারি ওয়ারেন্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। সিআইও আরেকটি নতুন ওয়ারেন্টের জন্য আবেদন করতে পারে বা বিদ্যমান ওয়ারেন্টের মেয়াদ বাড়ানোর চেষ্টা করতে পারে বলে আগেই ধারণা করা হয়েছিল।
ন্যাশনাল অফিস অফ ইনভেস্টিগেশন আদতে কোরিয়ান ন্যাশনাল পুলিশ এজেন্সির অংশ। গত শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সিউলে ইউনকে গ্রেপ্তার করতে তার বাসভবনে প্রবেশের চেষ্টা করে তদন্তকারী কর্মকর্তারা।
আরো পড়ুন : দক্ষিণ কোরিয়ায় রাজনীতিতে অচল অবস্থা
তবে প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তাকর্মীদের বাধার মুখে পিছু হটতে বাধ্য হন তদন্ত কর্মকর্তারা।
বাড়ির বাইরে নিরাপত্তা দলের সঙ্গে ৬ ঘণ্টার নানা নাটকীয়তার পর ইউন সুক-ইওলকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা স্থগিত করেছেন তারা। এ ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানানো হয়েছে।
উচ্চ-পদস্থ কর্মকর্তাদের দুর্নীতি তদন্তের দায়িত্বে থাকা দ্য করাপশন ইনভেস্টিগেশন অফিস ফর দ্য হাই-র্যাঙ্কিং অফিশিয়ালস (সিআইও) কর্মকর্তারা ইউনকে গ্রেপ্তারে তদন্তকারীদের একটি যৌথ দলের নেতৃত্ব দেন। এই দলের মধ্যে পুলিশ এবং প্রসিকিউটররাও রয়েছেন।
সিআইও এক বিবৃতিতে বলেছে, চলমান অচলাবস্থার কারণে অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ে।
মূলত এদিন ইউনকে গ্রেপ্তারে বাধা দেয় প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বাহিনী পিএসএস। এছাড়া সামরিক বাহিনীর সদস্যরাও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকরে বাধা হয়ে দাঁড়ান।