দক্ষিণ কোরিয়ার সেই বিমান সংস্থায় পুলিশের হানা

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:২১ এএম

ভয়ানক ওই বিমান দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। ছবি : সংগৃহীত
দক্ষিণ কোরিয়ায় বিমান দুর্ঘটনায় ১৭৯ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় তদন্তের অংশ হিসাবে জেজু এয়ারলাইন্স এবং মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অভিযান চালিয়েছে দেশটির পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) এ তথ্য জানিয়েছেন জেজু এয়ারের এক মুখপাত্র। তিনি বলেছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার পুলিশ ঘটনার ষিয়ে খুটিনাটি সবকিছু পরীক্ষা করছে। ভয়ানক ওই বিমান দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। খবর আরব নিউজের।
দেশটিতে পরিচালিত সব বোয়িং ৭৩৭-৮০০ বিমানে কোনো সমস্যা পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়ার নিদের্শ দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি চোই সাং-মোক।
শুক্রবারের মধ্যে জেজু এয়ারের বিধ্বস্ত বিমানটির ককপিট ভয়েস রেকর্ডার থেকে অডিও ডেটা সংগ্রহ সম্পন্ন করে ধ্বংসপ্রাপ্ত ফ্লাইটের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করারও নির্দেশ দিয়েছেন চোই।
বিমানের ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার ইউএস ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড (এনটিএসবি) এর সহযোগিতায় বিশ্লেষণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে দেশটির মন্ত্রণালয়।
আরো পড়ুন : দক্ষিণ কোরিয়ার বিধ্বস্ত বিমান থেকে ২ ক্রু বেঁচে গেলেন যেভাবে
গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের ৮ জন তদন্তকারীর একটি প্রতিনিধি দল দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এই দলে একজন ছিলেন ফেডারেল এভিয়েশন এডমিনিস্ট্রেশনের, তিনজন ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ডের এবং চারজন বোয়িংয়ের। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের পরীক্ষার ফলাফল পাওয়া যায়নি।
দক্ষিণ কোরিয়ার জেজু এয়ার পরিচালিত বোয়িং ৭৩৭-৮০০ বিমানের ১৮১ জন আরোহীর মধ্যে দুজন ছাড়া বাকি সবাই গত রোববার দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন।
ভিডিওতে দেখা গেছে, ল্যান্ডিং গিয়ার ছাড়াই বিমানটি দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কংক্রিটের দেয়ালে ধাক্কা খেয়ে বিস্ফোরিত হয়।
বিমানটির ইঞ্জিনে সমস্যা দেখা গিয়েছিল এবং প্রাথমিক পরীক্ষায় আরো বলা হয়, পাইলটরা গ্রাউন্ড কন্ট্রোল সেন্টার থেকে পাখির আঘাতের সতর্কতা পেয়েছিলেন এবং একটি বিপদ সংকেতও জারি করেছিলেন।
তবে অনেক বিশেষজ্ঞ বলছেন, ল্যান্ডিং গিয়ারের সমস্যায় সম্ভবত বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার মূল কারণ।দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার দেশটিতে থাকা ১০১টি বোইং ৭৩৭- ৮০০ বিমানের নিরাপত্তা পরীক্ষা শুরু করেছে।
দেশটির পরিবহন মন্ত্রণালয় জানায়, শুক্রবার পর্যন্ত চলা পাঁচদিনের নিরাপত্তা পরীক্ষার সময় রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনার রেকর্ড খতিয়ে দেখছে কর্তৃপক্ষ।
জেজু এয়ারের প্রেসিডেন্ট কিম ই-বে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, তার কোম্পানি আরো রক্ষণাবেক্ষণ কর্মী নিয়োগ করবে এবং বিমান পরিচালনার নিরাপত্তা বাড়ানোর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে মার্চ পর্যন্ত ফ্লাইট পরিচালনার হার ১০ থেকে ১৫ শতাংশ কমিয়ে আনবে।