দক্ষিণ কোরিয়ার বরখাস্ত প্রেসিডেন্ট ইউনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৩ এএম

দক্ষিণ কোরিয়ার বরখাস্ত হওয়া প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল। ছবি : সংগৃহীত
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজির না হওয়ায় দক্ষিণ কোরিয়ার বরখাস্ত হওয়া প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন দেশটির আদালত। দেশে সামরিক আইন জারির কারণে ইউনের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছিল।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) দেশটির উচ্চ-পদস্থ কর্মকর্তাদের দুর্নীতি তদন্ত সংস্থার পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর তাসের।
সংস্থাটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, যৌথ তদন্ত দলগুলোর সদর দপ্তর থেকে সিউল ওয়েস্টার্ন ডিসট্রিক্ট আদালতে ইউন সুক-ইওলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সাংবিধানিক ইতিহাসে এই প্রথম কোনো প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
সংস্থার মতে, ১৪ ডিসেম্বর সংসদে অভিশংসিত প্রেসিডেন্টের বিষয়ে এখনো পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। দুর্নীতি তদন্ত কার্যালয় সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউনের সামরিক আইন ঘোষণার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছে। ইউন সামরিক আইন ঘোষণার পরে বিদ্রোহের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন।
ইউন সুক ইওল টানা তৃতীয়বারের মতো জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিপোর্ট করতে ব্যর্থ হওয়ার একদিন পরে সিআইও দল তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার জন্য আবেদন করেছিল। দক্ষিণ কোরিয়ার আইন রাষ্ট্রদ্রোহের ক্ষেত্রে বর্তমান প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে বিচার করার অনুমতি দেয়। তবে, রাষ্ট্রপতির প্রতিরক্ষা আইনজীবী জোর দিয়ে বলেছিলেন, সংস্থাটির একটি বিদ্রোহের মামলা তদন্ত করার কোনো কর্তৃত্ব নেই।
আরো পড়ুন : দক্ষিণ কোরিয়ার পর এবার কানাডায় বিমানে আগুন
৩ ডিসেম্বর দেশে সামরিক আইন জারি করেছিলেন ইউন। কিন্তু জনগণ এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানালে সামরিক আইন জারির ছয় ঘণ্টার মাথায় তা প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। এর জেরে ১৪ ডিসেম্বর পার্লামেন্টে তিনি অভিশংসিত হন। তাকে বরখাস্ত করা হয়।
যদিও সাংবিধানিক আদালতের একটি রায়ের কারণে ইউনকে স্থায়ীভাবে প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ে নিষিদ্ধ করা হবে কি না সে সিদ্ধান্ত ঝুলে আছে।
ইউনকে বরখাস্ত করার পর ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হন দেশটির প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সু। ইউনের বিরুদ্ধে তদন্ত নিয়ে বিলে সই না করায় বিরোধী দলের আইনপ্রণেতারা ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হানকেও অভিশংসিত করেছে।